শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১
নাজমুল ইসলাম, জৈন্তাপুর (সিলেট)
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রপ্তানি হচ্ছে সিলেটের জারা লেবু

জারা লেবু হাতে চাষি। ছবি : কালবেলা
জারা লেবু হাতে চাষি। ছবি : কালবেলা

জারা লেবুর কদর দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছেছে বিদেশে। সিলেটের এই লেবু চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে জৈন্তাপুরের প্রায় ১০০ কৃষক পরিবার। রপ্তানি হওয়ায় বদলে যাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য। ফলে জারা লেবু চাষে আগ্রহ বাড়ছে জৈন্তাপুরের কৃষকের।

সিলেটের জৈন্তাপুরের আবহাওয়া সব সময়ই লেবুচাষের অনুকূল। তাই জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল, হরিপুর, জৈন্তাপুর ও ফতেহপুর বাজারে অনেক আগে থেকেই লেবু কিনতে আসেন বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা। তবে আশার কথা, এখন শুধু দেশে নয়, এসব লেবু প্রক্রিয়াজাত শেষে রপ্তানি হচ্ছে লন্ডন, আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, কাতার, সৌদি আরব, কুয়েত, আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।

উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর, হরিপুর, বাগেরখাল, শিকারখাঁ, উৎলারপার, চিকনাগুল ইউনিয়নের উমনপুর, পানিছড়া, ঠাকুরের মাটি, নিজপাট ইউনিয়নের কালিঞ্চিবাড়িসহ বিভিন্ন অঞ্চলে টিলা শ্রেণির ভূমিতে এখন বাণিজ্যিকভাবে জারা লেবু চাষ হয়। অন্য যে কোনো ফসলের চেয়ে এই লেবুর চাষ লাভজনক। তাই জারা লেবু চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষক পরিবারগুলো।

এক সময় প্রচুর জমি বছরের পর বছর অনাবাদি পড়ে থাকত। এখন ওই অনাবাদি জমিতেই চাষ হচ্ছে জারা লেবু। কলম করা চারা রোপণের দুই বছর পর ফলন আসা শুরু হয়। এরপর পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ফলন পাওয়া যায় গাছগুলো থেকে। এই লেবু দেখতে অনেকটা কুমড়ার মতো। রস তেমন না থাকলেও স্বাদ খুব ভালো।

ফতেপুর ইউনিয়নের লামা শ্যামপুর গ্রামের কৃষক হাবিব আহমদ জানান, জারা লেবু চাষের জন্য আমাদের এলাকাটি খুব উপযোগী। আমি প্রায় এক একর জায়গায় এর বাগান করেছি। আমাদের দাদা-বাবা লেবু চাষ করেছেন শুধু নিজ পরিবারের জন্য। আর আমরা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছি।

ফতেপুর ইউনিয়নের বাগেরখাল দলইপাড়া গ্রামের কৃষক সায়েম আহমদ দীর্ঘদিন ধরে লেবু চাষ করছেন। তিনি বলেন, কোনো ধরনের সরকারি সহায়তা পাওয়া যায় না। ভালো জাতের চারা ও প্রশিক্ষণ পাওয়া গেলে উৎপাদন আরও বাড়ত। বাজারে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারতাম।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক আহমদ কালবেলাকে বলেন, এলাকার প্রকৃত কৃষকের মাধ্যমে লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাগান পরিচর্যায় কৃষি বিভাগ ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উপকরণ ও হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার কালবেলাকে বলেন, জৈন্তাপুরের মাটি ও আবহাওয়া টকজাতীয় ফল উৎপাদনের উপযোগী। আমরাও এ ধরনের ফলের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের সব রকম সহায়তা দিয়ে থাকি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে মাংস ব্যবসায়ী নিহত

নাগরিক পার্টির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হলেন নিলয়

সাবেক ছাত্রদল নেতা মাহবুব হলেন নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক 

এসজিএমএইচ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ এর ফাইনাল অনুষ্ঠিত

এ্যাবের বর্ধিত সভা বাতিলের নিন্দা ও প্রতিবাদ 

ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বাটলার

আইনের শাসন না থাকলে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয় : তারেক রহমান

নয়ানগর ইউনাইটেড চ্যাম্পিয়ন

আমিরাতের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, কাল রোজা

জাতীয় টেনিসে জারিফ-সুমাইয়া সেরা

১০

শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ ৪-১ করল বাংলাদেশ

১১

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ইতালিতে রোজা পালন শুরু

১২

এনসিপির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান নিয়ে শহীদ আবু সাঈদের ভাইয়ের স্ট্যাটাস

১৩

৩২ জেলার দায়িত্ব পেলেন সারজিস

১৪

কিংসে রিয়াল মাদ্রিদ একাডেমির ফুটবলার

১৫

পবিত্র মাহে রমজানের চাঁদের ছবি প্রকাশ

১৬

জনগণের সরকারই ১৭ বছরের ধ্বংসস্তূপ পুনর্গঠন করতে পারবে : আমিনুল হক 

১৭

বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত ম্যাচ, সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া – অপেক্ষায় আফগানিস্তান

১৮

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব হলেন আরশাদুল হক

১৯

চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে রোজা শুরু শনিবার

২০
X