খুলনার কয়রায় ৩ মাস ধরে নেই সহকারী কমিশনার (ভূমি)। এসিল্যান্ড পদটি শূন্য হওয়ায় ভূমি অফিসে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন সেবাপ্রত্যাশীরা।
এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় ভূমি সংক্রান্ত কাজ যেমন- নামজারি, খাজনা আদায়, জমির পরিমাণ নির্ধারণ এবং খতিয়ান সংশোধন, জমি কেনা-বেচা প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে। ভূমি অফিসের কর্মীরা যেমন কাজের চাপের মধ্যে পড়েছেন, তেমনি সাধারণ মানুষও সঠিক সময়ে তাদের ভূমি সংক্রান্ত কাজ শেষ করতে পারছেন না।
সেবাপ্রত্যাশী ও স্থানীয়রা জানান, অনেক দিন ধরে জমির খতিয়ান সংশোধন করাসহ নামজারি করার জন্য ভূমি অফিসে যাচ্ছি কিন্তু এসিল্যান্ড না থাকায় এই কাজ শেষ করতে পারছি না। অফিসে গিয়ে শুধু শুনি, ‘এসিল্যান্ড নেই, কাজ করতে পারছি না।’
তবে এসব কাজ সম্পাদন করতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ড থাকা আবশ্যক। কিন্তু গত বছরের ১১ নভেম্বর তৎকালীন এসিল্যান্ড বিএম তারিক উজ জামান ইউএনও হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় বদলি হয়ে চলে যান। এরপর থেকে এসিল্যান্ড পদে কয়রা উপজেলায় আর কাউকে পদায়ন করা হয়নি। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপজেলা পরিষদ প্রশাসকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করায় তার পক্ষে নিয়মিত ভূমি অফিস পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সেবাগ্রহীতা বলেন, আমরা নামজারির জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কাজের ধীরগতির কারণে তা পেতে অনেক বেগ পোহাতে হচ্ছে। আমাদের অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ রেখে একাধিকবার ভূমি অফিসে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। তবে অনলাইন সিস্টেমে নামজারি ২৮ দিনে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা থাকলেও এসিল্যান্ড না থাকায় দীর্ঘ সময় লাগছে।
এ ব্যাপারে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো. ফিরোজ সরকার কালবেলাকে বলেন, এসিল্যান্ড কম থাকায় খুলনার কয়েকটি উপজেলায় এসিল্যান্ড দেওয়া সম্ভাব হচ্ছে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নতুন এসিল্যান্ড প্রদানের জন্য আবেদন করা হয়েছে। শিগগিরই এটা সমাধান হবে আশা করি।
মন্তব্য করুন