বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগর আমির ড. মাওলানা কেরামত আলী বলেছেন, ‘দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সব ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।’
আধিপত্যবাদী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও রমজানের পবিত্রতা রক্ষার দাবিতে নগর জামায়াত এ সমাবেশের আয়োজন করে। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর হেতেম খাঁ বড় মসজিদ থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাহেব বাজার বড় মসজিদের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
ড. কেরামত আলী বলেন, ‘অসংখ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা ৩৬শে জুলাই নতুনভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এই নতুন স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফ্যাসিবাদ ও তার দোসরমুক্ত করতে হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন করে জনগণের জান ও মালের নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘পবিত্র মাহে রমজান আমাদের মাঝে সমাগত। আর মাত্র ১ দিন পরেই সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মুসলমানরা আল্লাহর ফরজ ইবাদত পালন করবেন। দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে দেশের মানুষ আজ বিপর্যস্ত। দুবেলা, দু-মুঠো খাবার জোগাড় করতেই তারা দিশাহারা হয়ে পড়ছেন। এর মধ্যেই রমাজানকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য আবারও দফায় দফায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতায় ফ্যাসিবাদের দোসররা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে জনগণের পকেট কাটতে ব্যস্ত রয়েছে।’
অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার দাবি জানিয়ে জামায়াত নেতা বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে সেহরি ও ইফতার করতে পারেন সে জন্য প্রয়োজনে সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দিয়ে হলেও রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খেজুরের উপর অতিরিক্ত শুল্কের ফলে খেজুরের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা রমজানে খেজুরের শুল্ক সম্পূর্ণ ফ্রি করার দাবি করছি।'
এ সময় দিনের বেলা হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সব ধরনের অশ্লীলতা-বেহায়াপনা বন্ধ করে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার জন্য সরকারসহ সবার প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
মহানগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহবুবুল আহসান বুলবুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে নগর জামায়াতের নায়েব আমির অ্যাড. আবু মোহাম্মদ সেলিম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসাইন ও আব্দুস সামাদ, কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক এমকেএম সরোয়ার জাহান প্রিন্স, জসিম উদ্দিন সরকার, তৌহিদুর রহমান সুইট, আশরাফুল আলম ইমন, সিরাজুল ইসলাম, কামরুজ্জামান সোহেল, ডা. হাসানুজ্জামান, হাফেজ নুরুজ্জামান, মাওলানা রুহুল আমিন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মহানগর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইমরান নাজিরসহ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন থানার আমির ও অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন