চাঁপাইনবাবগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই বারঘরিয়া বাজার কমিটির কোষাধাক্ষ আলী হাসান আসিফ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা হারুন-অর-রশিদ বারঘরিয়া বাজারে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় তাকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় স্থানীয় গণধিকার পরিষদের নেতা রাকিব ও তার সহযোগী গোদা। এতে বাজারের দোকানদার ও সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চারদিক। পরে ইউপি চেয়ারম্যানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বারোঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন আর রশিদ বলেন, ‘বারোঘরিয়া বাজারে বসে চা খাচ্ছিলাম। এ সময় বাজারে ককটেল বিস্ফোরণ করতে শুরু করে। এ সময় আমাকে মারধর করা হয়। পরে কোনোরকম দোকানের ভেতরে ঢুকে পড়লে প্রাণে বেঁচে যাই।’
এ বিষয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আনোয়ার মাহমুদ জানান, ‘হারুন-অর-রশিদের হাত কেটে ও ভেঙ্গে যাওয়ায় ওনাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া বাকি পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
এ ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বারঘরিয়া বাজারের ‘মা টেকোনলজি’ নামে এক দোকানের মালিক নাজমুল আলম বলেন, ‘আমার দোকানের সামনে একটি ও বাজারের কয়েকটি স্থানে বেশ কিছু ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। মানুষজন, দোকানদার আতঙ্কিত হয়ে বাজার ছেড়ে পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে আঙ্গুলে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, রাত সোয়া আটটার দিকে গণ অধিকার পরিষদ নেতা হিসেবে পরিচিত রাকিব ও তার এক সহযোগী গোদা বাজারের অমি টেলিকম ও নূরক্লথ নামে দোকানের সামনে পাঁচটি-সাতটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এরইমধ্যে সাকিব নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে বারঘরিয়া ইউনিয়নের লক্ষীপুর এলাকার বাসিন্দা ও পৌর এলাকার পেয়ারা বাগান মহল্লার শাজাহান আলীর ছেলে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনার বিষয়ে আরও কিছু স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যাবে।’
মন্তব্য করুন