ঢাকার নবাবগঞ্জে সালিশি বৈঠকে গ্রাম্য মাদবরদের চাপ আর অপমান সইতে না পেরে নুরুল হক (৬২) নামে এক কৃষকের আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের মেলেং গ্রামে বড় ভাইয়ের সঙ্গে জমি-সংক্রান্ত ঘটনায় গ্রাম্য সালিশে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও জায়গা ছেড়ে দিতে চাপ দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, গত মাস দুয়েক আগে সালিশি বৈঠকের পর গত শনিবার স্থানীয় কয়েকজন মাদবর ওই কৃষককে ডেকে নিয়ে স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় বলে অভিযোগ নুরুল হকের পরিবারের। সেই চাপ ও ক্ষোভে বিষপান করেন নুরুল হক। বিষপানের পাঁচ দিন পর বুধবার দুপুরে ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
স্থানীয় ও স্বজনরা জানায়, গত শনিবার কৈলাইল ইউনিয়নের মেলেং গ্রামে সালিশি বৈঠকে মারধরের চেষ্টার অভিযোগে মানসিক কষ্টে কৃষক নুরুল হক পাড়াগ্রাম মেয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে পাড়াগ্রাম স্কুল মাঠে বসে বিষপান করেন। এ সময় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তার স্বজনদের খবর দেন। তারা নুরুল হককে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক তাকে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠান। ঘটনার পাঁচ দিন পর বুধবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ বিষয়ে গ্রাম্য সালিশি মাদবর আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা কোনো বিচার করিনি। কয়েক বছর আগে একটা সালিশে যে রায় হয়েছে সেটা মেনে নিতে বলেছি। চাপ দেওয়ার তো প্রশ্নই উঠে না।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ঘটনা শুনেই পুলিশ নিহতের বাড়ি গিয়ে বিস্তারিত জেনেছে। লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে। এ ধরনের ঘটনায় কেউ দোষী থাকলে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন