ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ভাঙ্গা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই কম্পিউটার অপারেটরকে বহিষ্কার করেছেন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার হোসেন।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর নানা বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামি সবুজ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিরা হচ্ছে কম্পিউটার অপারেটর বশিরউল্লাহ ও প্রধান শিক্ষকের সহযোগী (বিনা বেতনে) জনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে ওই শিক্ষার্থীকে বান্ধবীর কথা বলে কম্পিউটার অপারেটর বশীরউল্যাহ একটি কক্ষে ডেকে কথা আছে বলে বসিয়ে রাখেন। পরে ওই শিক্ষার্থী চলে বিভিন্ন কথা বলে কালক্ষেপণ করতে থাকে। আরেক কম্পিউটার অপারেটর সবুজ হাওলাদার এসে ওই শিক্ষার্থীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গায়ে হাত দিয়ে তার সঙ্গে কথা আছে বলে জোরপূর্বক বসানোর চেষ্টা করে। এসব ঘটনা অন্য ক্লাসের কিছু শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষককে জানান।
পরে প্রধান শিক্ষক হায়দার হোসেন তদন্তে সত্যতা মিললে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবুজ হাওলাদার ও বশিরুল্লাহকে মঙ্গলবার সকালে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেন।
সারা দেশে ধর্ষকদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভকারীরা ভাঙ্গা বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে গিয়ে বিক্ষোভ করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা শান্ত হন।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার সেকেন্ড অফিসার (উপ-পরিদর্শক) লোকমান হোসেন বলেন, শ্লীলতাহানীর অভিযোগে একটি অভিযোগ পেয়েছি। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন