খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

খুলনা স্পেশাল জজ আদালতের হিসাব রক্ষকের ১০ বছরের কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের হিসাব সহকারী ও কাম ক্যাশিয়ার অলোক কুমার নন্দীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. ইয়াসিন আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালতের সূত্র জানা গেছে, খুলনা বিভাগীয় জজ আদালতে মো. জহুর ই আলমের বিরুদ্ধে স্পেশাল মামলা ৪০/৯১ নম্বর মামলা বিচারাধীন ছিল। মামলার আসামির স্ত্রী হাসিনা আলম খোঁজখবর নিতে আদালতে আসেন। তখন ওই আদালতের হিসাব সহকারী ও কাম ক্যাশিয়ার অলোক কুমার নন্দী আসামি জহুর ই আলমকে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে খালাস করিয়ে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস প্রদান করেন।

১৯৯৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি অলোক কুমার নন্দীকে দেড় লাখ টাকা সিএন্ডবি কলোনির সামনে প্রদান করা হবে বলে হাসিনা আলম আশ্বাস দেন। কিন্তু ওইদিন তিনি কোনো টাকা তাকে পরিশোধ এবং তার সঙ্গে দেখাও করেননি। পরে একই বছরের ১৪ মে অলোক কুমার নন্দী মাগুরায় হাসিনা আলমের বাড়িতে যান এবং প্রতারণার আশ্রয় নেয়। এরপর জানানো হয় দেড় লাখ টাকা না দেওয়ায় আদালতের বিচারক আসামি জহুর ই আলমকে সাজা প্রদান করেছেন। হাসিনা আলম তখন নন্দীকে জিজ্ঞাসা করেন করণীয় কী আছে। উত্তরে নন্দী জানান দেড় লাখ টাকা দিলে মামলার যাবতীয় নথি পুড়িয়ে দেবেন।

১৯৯৪ সালের ২৫ মে আসামির স্ত্রী হাসিনা আলম ৬ শতক জমি ও গরু বিক্রি করে দেড় লাখ টাকা জোগাড় করে দুজনের উপস্থিতিতে নন্দী টাকা দেন। পরে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে জহুর ই আলমের বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের সাজাসংক্রান্ত চিঠি পেয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে জহুর ই আলমের স্ত্রী হাসিনা আলম অলোক কুমার নন্দীর কাছে টাকা ফেরত চান। অলোক কুমার নন্দী বিভিন্ন সময়ে হাসিনা আলমকে ২৩ হাজার টাকা দেন এবং আর কোনো টাকা দিতে পারবেন না বলে তাকে জানানো হয়।

এ ঘটনায় হাসিনা আলম খুলনা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে ১৯৯৯ সালের ১৭ জুন একটি নালিশি দরখাস্ত করেন। বিভাগীয় জজ আদালত থেকে একই বছরের ২২ জুন একটি স্মারক খুলনা দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে পাঠান। ২০০০ সালের ৩০ মে যাবতীয় প্রমাণ গ্রহণ শেষে জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরো পরিদর্শক মিছবাহ উদ্দিন বাদী হয়ে খুলনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র দত্ত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শিক্ষাসফরের চার বাসে ডাকাতি

জজ হওয়া হলো না আনিকা শাহির

‘হল খালির’ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে কুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

কয়েকটা ব্যাংক টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয় : গভর্নর

তারেক রহমানের নাম উচ্চারণ করতে অজু করে নেবেন : বুলু

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আইইউবির শিক্ষার্থী আহত

সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন আশাশুনির মামুন 

কুবিতে ৪ নারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণের অভিযোগ

বান্দরবানে অতিরিক্ত মদ্যপানে যুবকের মৃত্যু

ঝিনাইদহে ট্রিপল মার্ডার মামলায় আটক ২

১০

শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে দুই কম্পিউটার অপারেটর বহিষ্কার

১১

হাসিনা পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল : এবি পার্টি

১২

গাজীপুরে জমি দখলে এসে ভাঙচুর ও মারধর, আহত ৫

১৩

আধুনিক বিজ্ঞানের বিস্ময় ‘কাবা’র ভৌগোলিক অবস্থান!

১৪

যে কোনো পরিস্থিতিতে জনগণের ঐক্য বজায় রাখতে হবে : প্রিন্স

১৫

রাসুল (সা.) যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন

১৬

আবরার হত্যা মামলার আসামিসহ ৫৩ ফাঁসির আসামির খোঁজ নেই

১৭

কুষ্টিয়ায় বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে সমন্বয়কের বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগ

১৮

ইউক্রেনকে আদৌ কি ন্যাটোতে নেওয়া হবে?

১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় / চারুকলা শিক্ষার্থীদের ‘চোখ ও মানসিক স্বাস্থ্য’ নিয়ে গবেষণা কর্মশালা

২০
X