নোয়াখালী সদর উপজেলায় চুরি করতে গেলে চোরকে চিনে ফেলায় তাসলিমা বেগম রোজি নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে এ কথা স্বীকার করেছেন ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার মো. ওবায়দুল হক ওরফে তারেক।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. ইব্রাহিম এ কথা জানান।
এর আগে, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জালিয়াল গ্রামের আলী আহমেদ ছাপরাশির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তাসলিমা বেগম রোজি জালিয়াল গ্রামের আলী আহমেদ ছাপরাশির বাড়ির আমিন আলির মেয়ে। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা ও এক সন্তানের জননী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে বিনোদপুর ইউনিয়নের জালিয়াল গ্রামে রোজির ঘরে চুরি করতে ঢোকে একই গ্রামের তারেক। এ সময় রোজি দেখে ফেলায়, একা ঘরে তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে চলে যায় তারেক। শব্দ শুনে বাড়ির লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোজিকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা চাপাতি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের ভাই আহসান উল্যাহ জসিম বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে সুধারাম মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম বলেন, মামলার একমাত্র আসামি জালিয়াল গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. তারেককে (৩৫) জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে আসামি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
মন্তব্য করুন