চট্টগ্রাম নগরে ছিনতাইকারী ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বারেক বিল্ডিং মোড়ে পরিত্যক্ত একটি জায়গায় অভিযান চালানোর সময় এ ঘটনা ঘটে। এছাড়াও লুটকৃত টাকা, ছিনতাই-ডাকাতির সরঞ্জাম এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ছিনতাই করা অর্থ ভাগাভাগি করছিল একদল ডাকাত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছয়জনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালায় ডবলমুরিং থানা পুলিশ। অভিযানে মনির ও মেহেদী নামে দুজনকে আটক করা হয়। তবে বাকিদের ধরতে গেলে ছুরি দিয়ে পুলিশের উপর হামলা করে চারজন পালিয়ে যায়।
এ সময় সাব-ইন্সপেক্টর জামিল ও সাব-ইন্সপেক্টর নজরুল ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। আহত দুই পুলিশ সদস্যকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে নগর পুলিশের পশ্চিম বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূইয়া বলেন, ‘মনির, মেহেদী, তারেক, জুয়েল, রাজু, ভান্ডারি এবং রবি এখানে বসে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। যেসব সরঞ্জাম নিয়ে তারা ডাকাতি করে সেগুলো তারা প্রস্তুত করছিল। তারা মূলত ছিনতাই-চুরিই করে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত টাকাগুলো তারা এখানে ভাগ-বাটোয়ারা করছিল। আমাদের ডবলমুরিং থানার টিম এখানে এসে দুজনকে আটক করে। বাকিরা আমাদের দুজন পুলিশ সদস্যকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।’
হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূইয়া আরও বলেন, ‘আটক তারেক এবং জুয়েলের মধ্যে টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে মারামারি হয়েছে। তারা একে অপরকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে। এর ফলে তারেক মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।’
ডবলমুরিং থানার ওসি কাজী মো. রফিক আহমেদ জানান, ‘সংঘবদ্ধ ডাকাতদলকে গ্রেপ্তার অভিযানে গিয়ে থানার সাব-ইন্সপেক্টর জামিল ও সাব-ইন্সপেক্টর নজরুল ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাকাতদলের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক সবার পরিচয় জানা গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
মন্তব্য করুন