রাজশাহীতে হাইকোটের্র পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ ও ৫ দফা দাবি আদায়ে কমপ্লিট শাটডাউন অব্যাহত রেখে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রামেকের প্রধান ফটকের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় ইন্টার্ন চিকিৎসক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিএমডিসির বিরুদ্ধে করা রিট প্রত্যাহার ও বিএমডিসির শুধু এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারীদের রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার দাবি জানায়। বিএমডিসি থেকে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বস্তরের চিকিৎসকগণও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
বিএমডিসির বিরুদ্ধে করা রিট মামলা বিষয়ে চিকিৎসক ও মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের প্রতিকূলে ফলাফল আসলে, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রাখবেন বলে জানান চিকিৎসকরা এবং মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া পরবর্তীতে কঠোরভাবে সর্বাত্মক আন্দোলনের ঘোষণা দেবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজী বিভাগের চিকিৎসক ডা. শফিকুল ইসলাম, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরএস ডা. মশিউর রহমান, পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেনিং ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ডা. এটিএম আখেরুজ্জামান, রামেক ইন্টার্ন চিসিৎসক ফোরামের সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, ইন্টার্ন প্রতিনিধি ডা. অনন্যা রহমান, ডা. মাহমুদুল হাসান, বারিন্দ মেডিকেল কলেজ ইন্টার্ন চিকিৎসক ফোরমের নেতা ডা. সাদিকসহ ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে তৃতীয় দিনের মতো রামেকে চলছে ইন্টান চিকিৎসকদের কমপ্লিট শাটডাউনে ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা শত শত রোগী ও তাদের স্বজনরা। রামেক হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, ওয়ার্ডগুলোতে কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসক নেই। এ ছাড়া ওয়ার্ডে দেখা পাওয়া যাচ্ছে না সিনিয়র চিকিৎসকদেরও।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খন্দকার ফয়সল আলম বলেন, দেশের চিকিৎসকদের অবমূল্যায়ন, চিকিৎসার মান বৃদ্ধি না করার কারণে, রোগী মৃত্যুর হার বাড়ছে। আর এ সুযোগটাই নিচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ। এ পথকে আরও সুদৃঢ় করতে কাজ করে গেছে পতিত সরকার। বর্তমান সরকারের উচিত এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।
তবে রাজশাহীর মেডিকেল কলেজের মুখপাত্র, ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, রোগী সেবা নিশ্চিত করতে মিড লেভেল ও সিনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে কাজ চলছে। ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবৃত্তিতে থাকায় কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। রামেকের পরিচালকের নির্দেশে, চিকিৎসকদের সহযোগিতায় রোগী ভোগান্তি লাঘবে চেষ্টা করা হচ্ছে। জরুরিসহ প্রতিটি ওয়ার্ডেই চিকিৎসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন