বগুড়ায় মাহাবুবুর রহমান নামে এক বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। মামলা অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৩০০ জনকে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বগুড়ার শাজাহানপুর আমলী আদালতে এই মামলা করা হয়। আদালত মামলার আবেদন গ্রহণ করে তা এফআইআর হিসেবে গ্রহণের জন্য শাহাজানপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
মামলার আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান (মজনু), জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা টি জামান নিকেতা, রফি নেওয়াজ খান রবিন, একেএম আসাদুর রহমান দুলু, ওবায়দুল হাসান ববি, মাসুদুর রহমান মিলন, সুলতান মাহমুদ খান রনি, শুভাশীষ পোদ্দার লিটন। জেলা আওয়ামী লীগ ছাড়া, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।
মামলার বাদী বগুড়া পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মাহাবুবুর রহমান জানান, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ড্যামি নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপি, অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শাকপালা এলাকায় ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর কর্মসূচি পালন করছিলেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মীর নির্দেশে ঘটনাস্থলে ককটেল, পেট্রোল বোমা, গান পাউডার, আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, রামদাসহ আমাদের শাস্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করেন।
তিনি জানান, এক সময় জেলা আওয়ামী লীগের নেতা রফি নেওয়াজ খান রবিন, মাসুদুর রহমান মিলন ও শুভাশীষ পোদ্দার লিটনের হাতে থাকা পিস্তলের গুলি আমার পায়ে লাগে। এতে আমি গুরুতর আহত হই। পরে আমি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিই। গুলির কারণে আমার বাঁ পা চিরতরে পুঙ্গু হয়ে যায়। গত ৫ আগস্টের আগে ফ্যাসিস্ট দলীয় পুলিশ থাকায় আইনগত পদক্ষেপ নিতে দেরি হয়েছে।
মন্তব্য করুন