পর্যটনকেন্দ্র রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর স্থানটিতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক হাবিব উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সাজেকে পর্যটক গমন সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে সাজেক ভ্যালিতে আগুন লাগে। এতে অন্তত ৩৪টি কটেজ রিসোর্ট ও অন্তত ৬টি রেস্টুরেন্ট, ৩১টি স্থানীয় বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আগুনের সূত্রপাত হলে স্থানীয় লোকজন, পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রের চেষ্টা করে। দুপুর ৩টার দিকে এক এক করে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যেতে শুরু করে। প্রথম দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিস ও পরে খাগড়াছড়ি সদর থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছায়। বিকেল ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত কিছু কিছু স্থানে আগুন জ্বলছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় রিসোর্ট মালিকরা।
অবকাশ ম্যানুয়েল রিসোর্টের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। তবে অবকাশ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী বিজয় ঘোষ জানিয়েছেন, স্থানীয় এক বাসিন্দার রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত।
তিনি জানান, ইকো ভিলেজ রিসোর্টের নিচে স্থানীয় একজনের বাড়ির রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত। যা পরবর্তীতে ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের বাড়িঘরে এবং সেখান থেকে রিসোর্ট কটেজে। সালকা রিসোর্ট থেকে অবশরা রিসোর্ট এবং আর্মি কটেজ থেকে ফেনী লুসাই কটেজ পর্যন্ত সব কটেজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার ৪টি রিসোর্ট পুড়ে গেছে। যার ক্ষতি প্রায় ৭ কোটি টাকা। এই ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে উঠব বুঝতে পারছি না।
সালকা রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী মো. ফয়সাল বলেন, আমার সালকা রিসোর্টটি পুড়ে গেছে। এই আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ শতকোটি টাকার কম না। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানাব, যাতে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আমাদের সহযোগিতা করে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মোবারক হোসেন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পর্যটকরা নিরাপদে আছে।
মন্তব্য করুন