প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নদীতে ঘুরছে কুমির। কখনো একটা কুমির। কখনো একসঙ্গে তিন থেকে চারটা কুমির ঘুরছে নদীতে। কুমির দেখতে নদীপাড়ে ভিড় করে স্কুলের শিক্ষার্থী, এলাবাসীসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ। কুমির দেখাকে কেন্দ্র করে নদীপাড়ে বসেছে ঝাল মুড়ির দোকান। তবে কুমির আতঙ্কে দিন কাটছে গ্রামবাসীর। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ী ও মাগুরা জেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া গড়াই নদীতে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের কেওয়াগ্রামের মোহনের ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কুমির দেখতে নদীপাড়ে অপেক্ষা করছে স্কুলের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শনার্থীরা।
তারা জানান, অনেক দিন ধরে কুমির দেখার সংবাদ শুনছেন। তাই তারা কুমির দেখতে এসেছেন।
স্থানীয়রা জানান, নদীতে পানি যখন বেশি ছিল তখন এখানে কুমির এসেছে। এখানে নদীর পানি কমে গেছে। এখানে একটু পানি বেশি। প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এখানে কুমিরগুলো দেখা যায়। প্রতিদিন দুই থেকে তিন বার নদীতে কুমির ভাসতে দেখা যায়।
তারা আরও জানান, প্রতিদিন এলাকার শত শত মানুষ এই নদীতে গোসল, জামা-কাপড় ধোয়াসহ দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজে নদীর পানি ব্যবহার করতেন। এখন কুমির আতঙ্কে কেউ নদীতে নামতে পারছেন না।
কমবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শাহরিয়ার সুফল মাহমুদ বলেন, প্রায় দেড় মাস আগে নদীতে কুমির দেখা যায়। আমরা ভেবেছিলাম চলে যাবে। এখন মাঝে মাঝেই দেখা যায়। উপজেলা প্রশাসনকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনর বরাবর লিখিত আবেদন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম আবু দারদা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং সরেজমিনে গিয়েছি। কুমির দেখতে পাইনি। তবে কয়েকটি ভিডিও দেখেছি। ভিডিওতে যেটা দেখা যাচ্ছে, সেটা কুমির কিনা বোঝা যাচ্ছে না। কুমির শনাক্ত করা মাত্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন