টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় যৌনকর্মীকে দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে। আব্দুল লতিফ ঘাটাইল উপজেলার আনেহলা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের খাঁয়েরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আব্দুল লতিফ ওই এলাকার মৃত ইয়াকুব আলী সরকারের ছেলে। এমন ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে।
এদিকে এ ঘটনায় তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে উপজেলা বিএনপি। রোববার ঘাটাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিরাজুল হক ছানা ও সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য ঘাটাইল উপজেলার আনেহলা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল লতিফকে (মেম্বার) বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।’
জানা গেছে, ঘাটাইল উপজেলার আনেহলা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে দুই যৌনকর্মীকে দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ ঘটানোর অভিযোগ তুলে এলাকাবাসী। রোববার স্থানীয়দের কাছে হাতেনাতে আটক হওয়ার পর দুই যৌনকর্মীকে রেখে বিএনপির ওই নেতা পালিয়ে যান বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল লতিফ দীর্ঘদিন বিভিন্ন স্থান থেকে যৌনকর্মী ভাড়া করে গ্রামে এনে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা নজরদারি রাখলে আজ আপত্তিকর অবস্থায় তাকে একটি বাড়িতে আটক করা হয়। তবে পারিপার্শ্বিক অবস্থা অনুকূলে না থাকায় লতিফ পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা আটক দুই নারীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
সাবেক ছাত্রদল নেতা স্থানীয় আল-আমিন ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোহাম্মদ আলী বলেন, গ্রামে নারীদের নিয়ে এসে অনৈতিক কার্যকলাপ করায় আজ দুই নারী সহ লতিফ মেম্বারকে হাতেনাতে আটক করে এলাকাবাসী। ওই দুই নারী জনসম্মুখে প্রকাশ্য এ ঘটনা স্বীকারোক্তি দিয়েছে। কিন্তু সুযোগ বুঝে লতিফ মেম্বার পালিয়ে যায়। সে সময় তারা লতিফ মেম্বারের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
অভিযোগ বিষয়ে আব্দুল লতিফ মেম্বারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের স্বীকার। স্থানীয় কিছু লোকজন শত্রুতাবশত আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বলেন, দলের নাম ভাঙিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ ঘটানোর কোনো সুযোগ নেই। আব্দুল লতিফ মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে যেকোনো পর্যায়ের বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সে সময় তিনি উল্লেখ করেন।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম জানান, দুই নীরকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন