রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩২
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি : পুলিশ সুপার

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেছেন, আলোচিত বাস ডাকাতির মামলার একটি অংশ ছিল নারীদের ধর্ষণ। বাসের নারী এবং সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামতও পাওয়া যায়নি।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার।

মো. মিজানুর রহমান বলেন, নারী এবং সাধারণ যাত্রীরা আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, ডাকাত দল নাকফুল এবং কানের দুল নেওয়ার সময় নারী যাত্রীদের স্পর্শ করেছে। নারী যাত্রীদের সঙ্গে স্বর্ণালংকার লুণ্ঠনের সময় ডাকাতরা নারীদের খুব কাছাকাছি গিয়েছিল। এ ঘটনায় ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানীর মামলায় তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি-উত্তর)। কর্তব্যে অবহেলার দায়ে মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার লাউতারা গ্রামের মো. বদর উদ্দিন শেখের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল ওরফে মুহিত (২৯), শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মো. ইসমাইল মোল্লার ছেলে মো. সবুজ (৩০) এবং ঢাকা জেলার সাভার থানার টানগেন্ডা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মো. শরীফুজ্জামান ওরফে শরীফ (২৮)।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী বাসে মির্জাপুর এলাকায় তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বাসের যাত্রীরা জানায়, সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি ছাড়ে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসটিতে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কয়েকজনকে রক্তাক্ত করে ডাকাতি শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানি করার পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের নির্জন স্থানে বাস থামিয়ে ডাকাতদল নেমে যায়।

পরে যাত্রীরা বাসটি আটকে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের সহায়তা চায়। বাসযাত্রীদের হাতে আটক বাসচালক বাবলু, সুপারভাইজার মাহবুব ও হেলপার সুমনকে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাদের ৫৪ ধারায় আদালতে তোলা হলে তারা জামিনে মুক্তি পান। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘটনায় বাসের যাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় অজ্ঞাত ৮-৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রকাশ্যে চাঁদা দাবির মহড়া করা যুবদল নেতা বহিষ্কার

কুয়েটের ঘটনায় বিএনপি-যুবদলের ৪ জন গ্রেপ্তার

গোপালগঞ্জে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস

ইংলিসের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে ইংলিশদের হার

নিঝুমদ্বীপে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

আউটসোর্সিং কর্মীদের আলটিমেটাম

তৃতীয়বারের মতো বোলিং পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন সাকিব

অস্ত্র হাতে প্রকাশ্যে চাঁদা দাবির মহড়া যুবদল নেতার, ভিডিও ভাইরাল

বিয়েবাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসরঘর ভাঙচুর

আমিত্ব ভাব পরিত্যাগ করতে হবে : চরমোনাই পীর

১০

আগে স্থানীয়, সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচন চান জামায়াত আমির

১১

ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ ক্যাম্পাসে ইন্ট্রোডাকশন অ্যান্ড অ্যাডমিশন ফেয়ার

১২

অসামাজিক কাজের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৬

১৩

ইসরায়েলি কারাগারে ৪৫ বছর, কে এই নায়েল বারঘুতি

১৪

সিএ কর্মকর্তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো, মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার ২

১৫

মুশফিকুল ফজল আনসারীর প্রশংসা করে মার্কিন কূটনীতিকের এক্স বার্তা

১৬

পাঠ্যপুস্তকে আল মাহমুদের লেখা পুনর্বহালের দাবি

১৭

জামায়াত নেত্রী হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে আলটিমেটাম

১৮

যুদ্ধবিরতির পর মুক্তি পাচ্ছেন সর্বোচ্চ সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দি

১৯

যশোর বিএনপির সভাপতি সাবু, সম্পাদক খোকন

২০
X