ঢাকার ধামরাইয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে স্ত্রীর সামনে বাবুল হোসেন নামে এক যুবদল কর্মী ও সাবেক ইউপি সদস্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের মরদেহ সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের সময় ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের মাখুলিয়া গ্রামের আকসিনগর হাউজিংয়ের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারকেও মারধর করেছে দুর্বৃত্তরা।
নিহত বাবুল হোসেন (৫০) ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের মাখুলিয়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে। তিনি যুবদল কর্মী ও কুল্লা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ৩ বারের ইউপি সদস্য ছিলেন।
নিহতের ভাতিজা মোমিন হাসান বলেন, আজ জুমার নামাজের সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আরশাদ, শওকত, শরিফসহ তার সহযোগীরা আমার চাচাকে কুপিয়ে চোখ তুলে হত্যা করেছে। আমার চাচা ও চাচি কৃষি কাজ করতেন। সকাল থেকে তারা ওই হাউজিংয়ের ভেতরে সরিষার গাছ শুকাচ্ছিলেন। নামাজের সময় আমার চাচি চাচার জন্য বাসায় খাবার আনতে যান। তিনি ফিরে দেখেন হামলাকারীরা আমার চাচাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছেন। আমার চাচি তাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। চাচির ডাকচিৎকারে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে চাচাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আকশির নগর হাউজিং কোম্পানির মালিক তৌহিদ বলেন, এমন ঘটনা আমিও শুনেছি। তবে কে বা কারা তাকে মেরেছে বিষয়টি এখনো জানতে পারিনি। যুবদল নেতা ও ইউপি সদস্য হিসেবে বাবুল হোসেন একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন।
এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী বলেন, বিকেল ৩টার দিকে মৃত অবস্থায় ধামরাই থেকে বাবুল হোসেন নামের একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। নিহতের মরদেহ বর্তমানে হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর আমরা পেয়েছি। নিহতের মরদেহ সাভারের এনাম মেডিকেলে রয়েছে। আমিসহ কয়েকটি টিম কাজ শুরু করেছি। বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন