রংপুরের কাউনিয়ায় ভাতিজার মারধরে চাচার মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক শহিদুল ইসলামকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানী ঢাকার সাভার বিশমাইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরদিন রাতে র্যাব শহিদুলকে কাউনিয়া থানায় হস্তান্তর করে। আজ (শুক্রবার) সকালে তাকে রংপুর আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
ঘাতক শহিদুল উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের সাব্দী বুদ্ধির বাজার এলাকার মৃত নুর ইসলামের ছেলে। সে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত ১৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহিদুল ইসলাম লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে জোরপূর্বক ভেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করতে গেলে বাধা দেন চাচা আমজাদ হোসেন। বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ভাতিজা শহিদুল ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমজাদ হোসেনকে এলোপাতাড়ি মারধর করলে তিনি ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন।
এ সময় তার চিৎকারে স্বজন ও স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কাউনিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে ওইদিন রাত ৩টার দিকে রংপুর মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পথে চাচা আমজাদ হোসেন মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রায়হান আলী বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
কাউনিয়া থানার ওসি তদন্ত মোস্তফা কামাল জানান, বিরোধপূর্ণ জমিতে মাটি উত্তোলনকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনায় নিহত হয় আমজাদ হোসেন। হত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ইসলামকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার সাভার বিশমাইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত আরেক আসামি গোলাপি বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
মন্তব্য করুন