কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে রাতের আঁধারে শহীদ মিনার ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টা পর উপজেলার গুণবতী ডিগ্রি কলেজে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, প্রতি বছরের মতো এবারও শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার গুণবতী কলেজের শহীদ মিনার সাজানো হয়। রাত ১২টার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ ও বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি সংগঠন ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়। রাত ২টার পর দুর্বৃত্তরা শহীদ মিনারের দুটি স্তম্ভ ভেঙে ফেলে।
খবর পেয়ে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম মীর হোসেন ও থানা পুলিশ।
এ ছাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমান ও গুনবতী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরীসহ রাজনৈতিক নেতারা শহীদ মিনার পরিদর্শন করেছেন।
গুণবতী ডিগ্রি কলেজের নৈশপ্রহরী সামছুল আলম বলেন, রাত ২টার পর শহীদ মিনারের দুটি স্তম্ভ ভাঙার আওয়াজ শুনেছি। কিছুক্ষণ পর সেখানে গিয়ে কাউকে দেখিনি।
গুণবতী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য একটি পক্ষ শহীদ মিনার ভেঙেছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
গুণবতী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ইউসুফ মেম্বার বলেন, দুর্বৃত্তরা গুণবতীর শান্ত পরিস্থিতিকে অশান্ত করতেই শহীদ মিনার ভাঙচুর করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
উপজেলা জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমান বলেন, শহীদ মিনার আমাদের জাতীয় চেতনার প্রতীক। রাতের আধারে শহীদ মিনারের দুটি স্তম্ভ ভেঙে ফেলায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
গুণবতী ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ বলেন, রাতে কে বা কারা শহীদ মিনারের দুটি স্তম্ভ ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনা তদন্তে স্টাফ কাউন্সিলের সেক্রেটারির নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনে কাজ চলছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামাল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, কলেজ অধ্যক্ষের মাধ্যমে ঘটনা জেনেছি। ঘটনাস্থল পুলিশের উপপরিদর্শক অভির নেতৃত্বে পরিদর্শন করা হয়েছে।
এদিকে আজ শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহীদ মিনারে ফুল দিতে এসে দুটি স্তম্ভ ভাঙা দেখে নিন্দা জানান স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন