ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। এ সময় ছুরিকাঘাতে দুজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে।
বিজয়নগর থানার ওসি মো. রওশন আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন- উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের পেটুয়াজুরি এলাকার সাজু মিয়ার ছেলে মো. বেলাল (৩৮) এবং ইছাপুরা ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের মহরম আলীর ছেলে জীবন আলী (১৭)। তারা বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একুশের প্রথম প্রহরে উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে শহীদ মিনারে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ইউএনও। পরে সেখানে ফুল দিতে আসেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা দুটি ভাগে আসেন। একপক্ষে ছিলেন জমির দস্তগীর ও ইমাম হোসেনের সমর্থকরা। অপরপক্ষে ছিলেন মহসিন ভূইয়া ও শাহ আলম মিয়ার অনুসারীরা। কে আগে ফুল দেবে তা নিয়ে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় খুরের আঘাতে দুজন আহত হয়। তারা দুজনই মহসিন-শাহ আলমের সমর্থক। দীর্ঘদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় রাজনীতিতে বিএনপির দুটি গ্রুপে বিভক্ত।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, শ্যামল গ্রুপ ও কবির গ্রুপ শহীদ মিনারে ফুল আগে পরে দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুজন আহতের মধ্যে একজনের পেট ও পিঠের তিনটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ক্ষতস্থানে সেলাই করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি জমির হোসেন দস্তগীর বলেন, ছাত্রদলের নেতারা ফুল দিতে গেলে কবির গ্রুপ অপেক্ষা না করে তারাও একই সময় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদেরকে নিয়ে ফুল দিতে যায়। তখন ছাত্রদল প্রতিবাদ করে এতে হাতাহাতি হয়। একজন আহত হয়েছে শুনেছি।
বিজয়নগর থানার ওসি রওশন আলী বলেন, আমি ও আমার অফিসাররা উপস্থিত থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। তাদেরকে শহীদ মিনার থেকে বের করে দিয়েছি।
মন্তব্য করুন