বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এ দেশে গণতন্ত্র রুখে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে যারা লিপ্ত হয়েছে, তাদের সবাই মিলে রুখে দিতে হবে। দীর্ঘ সময় বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আজ দেশের প্রত্যেক মানুষ ভোটের অধিকারের জন্য অপেক্ষায় আছে। ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের ম্যান্ডেট ছাড়া এ দেশে কোনো সংস্কারের ক্ষমতা এই অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। সুতরাং এখন সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করবেন না।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লক্ষ্মীপুর আউটার স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, আমরা ১৬ বছর যুদ্ধ করেছি বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। যারা জনগণের মালিকানা দিতে চায় না, তারা চাচ্ছে যতদূর সম্ভব অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে তাদের নিজের স্বার্থ আদায় করতে। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা বলছে, সব সংস্কার না করে নির্বাচন দেওয়া ঠিক হবে না।
সারা দেশে বিএনপির জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণমানুষের ওপর বিএনপির আস্থা রয়েছে। যাদের আস্থা নেই, তারাই আজ নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে। আমরা ভেবেছিলাম শেখ হাসিনা পালানোর পর দেশে রাজনীতিতে একটি সুন্দর সময় আসবে।
বিচার বিভাগ নিয়ে আমির খসরু বলেন, আবার কেউ কেউ বলছে শেখ হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশে নির্বাচন দেওয়ার দরকার নেই। তাদের কাছে প্রশ্ন, তাহলে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের কাজটা কী? তারা বলেছে শেখ হাসিনা সরকারে থেকে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করেছে। তাহলে এখন কি তারাও সেই পথে হাঁটছে?
তিনি বলেন, কেউ বলছে আনুপাতিক হারে নির্বাচন দিতে হবে। আমি বলব, আনুপাতিক হারের নির্বাচনের জন্যও দেশের মানুষের মতামত নিতে হবে। তবে ধরনের আনুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে কোনো ঐকমত্য নেই।
মন্তব্য করুন