বগুড়ার ধুনটে হরতালের সমর্থনে মশাল মিছিলের ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাংবাদিক ও বিএনপি নেতাদেরও আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ধুনট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চরপাড়া গ্রামের রিপন সেখ বাদী হয়ে ধুনট থানায় বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইনে ৯৯ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল সনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র যুগ্ম সম্পাদক মহসীন আলম, শরীফুল ইসলাম খাঁন, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমিন তরফদার, এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক, সাবেক চেয়ারম্যান এমএ তারেক হেলাল, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বনি আমিন মিন্টুসহ ৯৬ জন।
এ ছাড়া এই মামলায় অজ্ঞাত আসামি রয়েছেন আরও ৬০-৭০ জন। এই মামলায় পুলিশ শাহাদৎ হোসেন শিপন (৩৭) নামে যুবলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে নিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শাহাদৎ হোসেন শিপন উপজেলার রামনগর গ্রামের শামসুল হকের ছেলে। তিনি উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এজিএম বাদশাহ, এলাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ তারেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সোবহান, গোসাইবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত আলী লিটন, গোঁসাইবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, দৈনিক যায়যায়দিনের ধুনট উপজেলা প্রতিনিধি ইমরান হোসেন ইমন, গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন বিপুলের নাম আসামি হিসেবে রয়েছেন।
মামলায় বলা হয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ৭টায় হরতালের সমর্থনে আসামিরা মশাল মিছিল বের করে। তখন আসামিরা পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র, হাতবোমা ও লাঠি নিয়ে বাদীকে আক্রমণ করেন। এ সময় তারা হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
মামলার ৯নং আসামি ধুনট মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবং দৈনিক যায়যায়দিনের উপজেলা প্রতিনিধি ইমরান হোসেন ইমন বলেন, আমি কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলাম না। স্বাধীন সাংবাদিকতা করি। আওয়ামী লীগের মশাল মিছিলের বিষয়টি আমি নিজে ওসিকে বলি। পরে আমার নিজস্ব অনলাইনে নিউজ ও ছবি আপলোড করি। এটা নিয়ে একটি মহল ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে আসামি করেছে।
বিএনপি নেতা সানোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, বাদীকে ম্যানেজ করে বিএনপির একজন নেতা এটা করিয়েছেন।
গোঁসাইবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে যদি বিএনপির লোকই মামলা করে তাহলে কোথায় দাঁড়াব আমরা? আমি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসামি করার প্রতিবাদ জানিয়েছি।
ধুনট থানার ওসি সহিদুল আলম কালবেলাকে বলেন, স্থানীয় বিএনপির এক কর্মী মামলা করেছেন। মামলা তদন্ত করে দেখব আসলেই কারা জড়িত ছিল। অন্যায়ভাবে কাউকেই হয়রানি করা যাবে না।
মন্তব্য করুন