চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘কারাগারে ৩০-৪০ জনের জায়গায় ১০০ জন রাখা অমানবিক’

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদিদের মাঝে পোশাক, ওষুধসহ বিভিন্ন উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। ছবি : কালবেলা
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদিদের মাঝে পোশাক, ওষুধসহ বিভিন্ন উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। ছবি : কালবেলা

কারাগারে ৩০-৪০ জনের জায়গায় ১০০ জন কয়েদি রাখাকে অমানবিক বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র (চসিক) ডা. শাহাদাত হোসেন। পাশাপাশি কয়েদিদের জন্য মানসম্মত ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান তিনি।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত ব্যক্তিগত উদ্যোগে কয়েদিদের মাঝে পোশাক, ওষুধসহ বিভিন্ন উপহারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।

এসময় মেয়র বলেন, কারাগারে কয়েদিদের অতিরিক্ত চাপ। আমি দেখেছি প্রতিটি রুমে কয়েদিদের থাকার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা থাকে না। ৩০-৪০ জনের জায়গায় ১০০ জন রাখা হয়। এটা বড়ই অমানবিক। কয়েদিদের নির্দিষ্ট পরিমাণ থাকার জায়গা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ ছাড়া গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কারণে কারাগারের চাপ আরও বেড়ে যায়। ফলে বন্দিদের জন্য পর্যাপ্ত জায়গার সংকট সৃষ্টি হয়। কারাগারে কয়েদিদের তুলনায় বাথরুমের সংখ্যা অত্যন্ত কম। এতে করে বন্দিদের নানা ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এটি অত্যন্ত অমানবিক অবস্থা। বন্দীদের ন্যূনতম মৌলিক অধিকার ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা জরুরি।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, কাশিমপুর কারাগারে আমি দেখেছি ফুটবল খেলার মাঠ আছে। কলা গাছ, কাঁঠাল গাছ আছে এগুলোর ফল কয়েদিরা খায়। চট্টগ্রামে কারাগার সুপ্রশস্ত না হওয়ায় আনোয়ারা, সীতাকুণ্ড বা মিরসরাইয়ের মতো এলাকায় কয়েদিদের জন্য খেলার মাঠ, বাগান ও পর্যাপ্ত মুক্ত জায়গা থাকবে এমন নতুন কারাগার গড়ে তোলার বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।

স্বাস্থ্যসেবা ও মানসিক সহায়তার সম্পর্কে মেয়র বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে সবকিছু। কায়েদিদের জন্য একজন ডাক্তারের পাশাপাশি একজন সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। কারণ এখানে আত্মহত্যার অনেক ঘটনা হয়েছে। একজন কয়েদি যখন এখানে ঢুকে সে যদি দোষী না হয়, তাহলে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। কাজেই আমার মনে হয় একজন সাইকোলজিস্ট থাকলে কয়েদিদের মানসিক সাপোর্ট দেওয়া সম্ভব হবে। কারাগারে মানসম্মত ওষুধের অভাব রয়েছে। আমি দেখেছি অনেক সময় এই নিম্নমানের ওষুধ ব্যবহারের কারণে রোগীরা সুস্থ হচ্ছে না বরং এলার্জির মতো চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। সেজন্য মানসম্মত ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

ডেপুটি জেলার ইব্রাহিমের সঞ্চালনায় ও সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মাসুদ হাসান জুয়েল, জিয়াউর রহমান জিয়া, আলাউদ্দিন আলী, আবুল বশর ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বোরখা পরে অস্ত্রসহ স্কুলের সামনে ঘুরছিলেন জালাল, অতঃপর...

বারি পেঁয়াজ ৪ / প্রজনন বীজ উৎপাদন কৌশল নিয়ে মাঠ দিবস

চন্দ্রনাথ ধামে শিবচতুর্দশী মেলা শুরু মঙ্গলবার

বিএনপি নেতা আজম খানকে শোকজ

আবরার ফাহাদ হত্যার ফাঁসির আসামি পালানোর খবরে উত্তাল বুয়েট

সাজেকে ৫ ঘণ্টায় পুড়ে ছাই শতকোটি টাকার সম্পদ

রাবিপ্রবি সিন্ডিকেট সদস্য হলেন সাইদুল ইসলাম

সেমিনারে বক্তারা / প্রকৌশলীরা সৎ হলে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যেতে পারবেন

একদিনে সৌদিআরব ও কাতারে ৩ প্রবাসীর মৃত্যু

আ.লীগ যা করে, বিএনপি তা করে না : জুয়েল

১০

১১ বছর পর তিন জামায়াত-শিবির কর্মীর লাশ উত্তোলন

১১

পদত্যাগে বাধ্য হওয়া শিক্ষকদের পুনর্বহালসহ ৫ দাবি

১২

শিক্ষক হত্যা : মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি যুবলীগ নেতার

১৩

৩ বছর অপেক্ষার পর হলেন ইউপি চেয়ারম্যান

১৪

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায়ের পর যা বললেন শান্ত  

১৫

ধর্ষণের বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনসহ ১৩ দাবি শিক্ষার্থীদের

১৬

নির্বাচিত হলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স : এনডিএম মহাসচিব

১৭

এবার গল্পের বই নিয়ে মেলায় সৈয়দ ইফতেখার

১৮

পটুয়াখালীতে বৈষম্যবিরোধীদের রেড কার্ড প্রদর্শন

১৯

হুবহু মানুষের মতো কথা বলছে কাক

২০
X