সৌদি আরবের নাগরিক নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় নিজ গ্রামের বাড়িতে এসেছেন খোকন ও সাঈদ নামে দুই ভাই। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার লক্ষনখোলা গ্রামের সাতকানি মাঠে হেলিকপ্টারে এসে নামেন তারা।
সৌদি আরবের ওই নাগরিকের নাম আতাইবি মোহাম্মদ খালিদ, তার স্ত্রী রুজানা ও ভাই আতাইবি ফয়সাল খালিদ।
প্রবাসী খোকন ২৫ বছর আরবের রিয়াদ শহরের (কফিল) মালিকানাধীন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। মালিকের (কফিল) সঙ্গে সুসম্পর্ক হয় খোকন ও সাঈদের। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা ১০ মিনিটের দিকে রিয়াদ থেকে ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন তারা। এরপর বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টার ভাড়া করে ঢাকা থেকে মেঘনায় আসেন।
এদিকে প্রবাসী সাঈদের সঙ্গে তার সৌদি মালিকের গ্রামে আসার খবরে আজ (বুধবার) দুপুর থেকেই উৎসুক জনতা সাতকানি মাঠে ভিড় করেন। সৌদি থেকে আসা নাগরিককে বরণ করে নিতে নেওয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। এদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হেলিকপ্টারে লক্ষনখোলা গ্রামের সাতনাকি মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে হইহুল্লোড় লেগে যায়। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুজিব রহমান মজিব ও খোকন চৌধুরী ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন সৌদি প্রবাসী ও তার কর্মস্থলের মালিক, তার স্ত্রী ও ভাইকে। পরে সেখান থেকে লক্ষনখোলা নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। এসময় মেঘনা থানা পুলিশের ফোর্স এবং লক্ষনখোলা গ্রামের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাসী খোকন চৌধুরী বলেন, আমি এই মালিকের সঙ্গে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে সৌদি আরবে সুসম্পর্কের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করি। আমার জীবনের বড় একটা সময় তাদের সাথে কাটিয়েছি। সেই সুবাদে তিনি আমাদের বাড়িতে দীর্ঘ অনেক দিন ধরে আসবে বলে। তাই তাকে আনার সিদ্ধান্ত নেই। আমরা আগে থেকে চিন্তা করি তাকে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে গ্রামে যাব। ১০ দিন বাংলাদেশে থাকবেন পরে একসঙ্গে আবার সৌদিতে চলে যাব।
সৌদি নাগরিক আতাইবি মোহাম্মদ খালিদ বলেন, আমি বাংলাদেশকে খুব পছন্দ করি। আমি এর আগে শুনেছি বাংলাদেশের মানুষ খুব আন্তরিক। তাই সাঈদের সঙ্গে আমি ও আমার স্ত্রী ও ভাইকে নিয়ে তার গ্রামে এসেছি। এখানে মানুষের আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ। এখানকার গ্রামীণ পরিবেশ আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।
মন্তব্য করুন