কয়রা উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হাসানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় কয়রা উপজেলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিএনপি নেতা হাসান বলেন, সম্প্রতি দুটি আঞ্চলিক পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে ও দলীয়ভাবে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। সংবাদে আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখল, টেন্ডারবাজি, আওয়ামী লীগ আমলে সুবিধাভোগ করার অভিযোগ রয়েছে। সংবাদটি আদৌও সত্য নয়। এ ধরনের কোনো কাজের সাথে আমি কোনো দিন জড়িত ছিলাম না। এখনও নেই। উক্ত সংবাদে যে সকল ব্যক্তিদের বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে তারা প্রতিবেদককে ওই ধরনের কোনো বক্তব্য প্রদান করেনি। প্রতিবেদক তার মনগড়া বক্তব্য প্রদান করেছে। ওই সংবাদে যাদের বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে তারা উপস্থিত হয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে ২৫ বছরের অধিকসময় বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত। আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদে আত্মীয়-স্বজনের রাজনীতির সুবিধাভোগী বলা হয়েছে। অথচ বিগত ১৬ বছরে স্বৈরাচার সরকারের আমলে ৫টি মামলার আসামি হয়েছি। দুবার জেল খেটেছি। ২০১৩ সালে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে বিএনপি অফিস ভাঙচুর করে এবং আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে খুলনা জেল খানা থেকে আমার দুপায়ে ডান্ডাবেড়ি দিয়ে রিমান্ডের উদ্দেশ্যে কয়রা থানায় আনা হয়। এবং গভীর রাতে অসংখ্যবার আমার বাড়িতে পুলিশ হানা দিয়ে তছনছ করেছে। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করে এ ধরনের বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করেছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো তদন্ত করলে মিথ্যা প্রমাণিত হবে।
বিএনপি নেতা হাসান বলেন, সম্প্রতি কয়রা উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন করার ঘোষণা দেওয়ায় পর আমার জনপ্রিয়তা দেখে আমার প্রতিপক্ষরা এই অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি উক্ত মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মন্তব্য করুন