বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন লক্ষ্মীপুর জেলার নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির পক্ষে এবং বিপক্ষে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ও রাতে পৃথকভাবে এসব মিছিল হয়।
জানা যায়, বিকেলে আহ্বায়ক কমিটির নবনির্বাচিত সদস্যরা একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী আফনান চত্বর থেকে শুরু হয়ে বাজার সড়ক প্রদক্ষিণ করে উত্তর তেমুহনীতে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও মুখ্য সংগঠক সাইফুল ইসলাম মুরাদকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় অন্যান্য সদস্যরা।
এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক আরমান হোসাইন, মুখ্য সংগঠক সাইফুল ইসলাম মুরাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক রেদওয়ান হোসাইন রিমন, আলমগীর হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব নাজিমুদ্দিন জাদরান, জান্নাতুন নাইমা, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আব্দুল হামিদ খান, রায়পুর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল মোতাল্লেব, ওসমান গনী, রামগঞ্জ প্রতিনিধি ইসমাইল রাফি, রামগতি প্রতিনিধি আদনান মাহমুদ, কমলনগর প্রতিনিধি আকরাম হোসেন জিসান প্রমুখ।
আহ্বায়ক আরমান হোসাইন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি হচ্ছে শহীদ পরিবারের কমিটি। লক্ষ্মীপুরের ৩৬০ জন আহত ভাইয়ের সুচিকিৎসা দিয়ে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য এ কমিটি। লক্ষ্মীপুরের মানুষ যাতে রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারে, এটা সেই কমিটি। প্রশাসনের ভেতরে থাকা দুর্নীতিবাজদের উৎখাতের জন্য এ কমিটি।
এদিকে নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে পদবঞ্চিত আরেকটি গ্রুপ। মিছিলের নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একাংশের আবদুর রহিম আসাদ, মেহেদী হাসান নিরব ও মেহেদী হাসান হাসিব।
উল্লেখ্য, রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠন করা হয়। ২৩৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল। ৬ মাসের জন্য এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে পরদিনই সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঘোষিত কমিটি থেকে ২৮ জন পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আহ্বায়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন