আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ বিন সাঈদী বলেছেন, আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না, যতক্ষণ পর্যন্ত মজলুম এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি নিশ্চিত না হয়। এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে। একই সঙ্গে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পিরোজপুর শহীদ মিনারে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
মাসুদ সাঈদী বলেন, ৫ আগস্ট একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয়ে জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। যে প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছিল সেই প্রত্যয়ের ব্যত্যয় কেন আজহারুল ইসলামের ব্যাপারে হলো। কেন আজকেও তাকে মুক্তি দেওয়া হলো না। তার মুক্তির দাবিতে কেন আমাদের রাজপথে নামতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী শাসন আমলে ওই কুলাঙ্গার বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে মৌলবাদ, সন্ত্রাস তদন্ত কমিশন নামে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিশন গঠিত হয়েছিল বিচারপতি মানিকের নেতৃত্বে। সেই কমিশনের সদস্য ছিলেন রাষ্ট্রপতি মোঃ শাহাবুদ্দিন চুপ্পু। চুপ্পুর ষড়যন্ত্রে আজকে এটিএম আজাহারের মুক্তি হচ্ছে না।
জিয়ানগর উপজেলা পরিষদের সাবেক এ চেয়ারম্যান বলেন, এটিএম আজহারের মুক্তির পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি করছি। আজহারুলকে ট্রাইব্যুনাল থেকে দেওয়া হয়েছিল ফাঁসির রায়। সেখানে তার বিরুদ্ধে যে সাক্ষী দেওয়া হয়েছিল সেই সাক্ষীদের সাক্ষ্য বলেছিল, তারা নাকি দেড় কিলোমিটার দূর থেকে একজন, তিন কিলোমিটার দূর থেকে আরেকজন ও ছয় কিলোমিটার দূর থেকে দেখেছে আজহারুল ইসলাম পাক সেনাদের সঙ্গে নিয়ে ট্রেন থেকে নেমেছে। এ রকম গাঁজাখুরি সাক্ষীর মাধ্যমে যে বিচার পরিচালিত হয় ওই বিচারের কপালে আমরা ঝাড়ু মারি।
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছেলে বলেন, আমরা শুধু এটিএম আজহারের মুক্তি দাবি করছি না। এ পচা সাক্ষীর ভিত্তিতে যারা সাক্ষ্য দিয়েছে, বিচার করেছে ওইসব কুলাঙ্গার বিচারপতিদের ফাঁসি দাবি করছি। আমরা ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছি। মেহেরবানি করে আমাদের ধৈর্যের চ্যুতি ঘটাবেন না। আমরা কিন্তু ফোঁস করতে জানি।
মাসুদ সাঈদী আরও বলেন, আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না যতক্ষণ পর্যন্ত মজলুম এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি নিশ্চিত না হয়। এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে। একই সঙ্গে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে। আমাদের নিবন্ধন কারও দয়ায় পাইনি। কারও দয়ায় আমরা নিবন্ধন চাই না। আমরা আমাদের অধিকার আদায় করে নেব। আমাদের মার্কা আদায় করে নেব ইনশাআল্লাহ।
পিরোজপুর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসেন ফরিদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. জহিরুল হক, সহকারী সেক্রেটারি শেখ আব্দুর রাজ্জাক, পেশাজীবী বিভাগের জেলা সভাপতি আব্দুল্লাহিল মাহমুদ ও শিবিরের জেলা সভাপতি মেহেদী হাসান।
মন্তব্য করুন