‘বৈষম্যবিরোধীদের নামে আওয়ামী লীগ নেতাকে নিয়ে অনুষ্ঠান’ এমন শিরোনামে কালবেলায় একটা সংবাদ প্রকাশের পর মোনায়েম খান নামের সেই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পাশের রাস্তা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি আসাদউজ্জামান কালবেলাকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
খান মোনায়েম হোসেন জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলার ২নং গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি উপজেলার একই ইউনিয়ন ও গ্রামের মৃত আজিজ খানের ছেলে।
এর আগে ২০২৩ সালের রমজান মাসে মোনায়েম আলফাডাঙ্গা থানায় শেখ মুজিবের ছবি সংবলিত বিলবোর্ড ভাঙা এবং কটূক্তির দায়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে তবিবর রহমান নামে এক বিএনপি কর্মীকে জেল খাটান এবং একই মামলায় একাধিক ব্যক্তিদের আসামি দিয়ে মামলা বাণিজ্য করেন বলে জানা যায়।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কথিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে কালবেলাসহ একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ দেখার পর বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের জেলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধিদের। এরপর আজ (মঙ্গলবার) দুপুর ২টার দিকে মোনায়েম খানকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখে ছাত্র প্রতিনিধিরা কোতোয়ালি থানায় ফোন দিলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ মোনায়েমকে গ্রেপ্তার করে।
ফরিদপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান কালবেলাকে জানান, আমরা ১৬ জুলাই থেকেই জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ফরিদপুর রাজপথে ছিলাম। এখন কে বা কারা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ট্যাগ লাগিয়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে অনুষ্ঠান করে সেটা আমরা জানি না। যেহেতু ফরিদপুর জেলাসহ কোনো উপজেলাতে কমিটি হয়নি সুতরাং আলফাডাঙ্গার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ওই নেতাকর্মীদের সাথে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। বিষয়টি আমরা জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে আমাদের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের কাছে জানিয়েছি।
কোতোয়ালি থানার ওসি আসাদুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের করা মামলায় মোনায়েমকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন