গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট ইউনিয়নের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল হত্যার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় তার বাবা আব্দুল মান্নান মন্ডল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ ২৭ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি দায়ের পর থেকে শুরু হয়েছে ত্রিমুখী কর্মসূচি। কেউ দাবি করছেন নিরপরাধ আসামিদের অব্যাহতি কেউ বা চাচ্ছেন খুনের বিচার।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাদুল্লাপুর উপজেলার শাখার নেতারা বলছেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডলকে খুনের ঘটনায় জড়িত না থেকেও তাদের ১৬ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সাদুল্লাপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করেছে দলটি।
এদিকে, আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারসহ তাদের ফাঁসির দাবিতে ধাপেরহাট বন্দরে বিক্ষোভসহ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে স্বজনরা। এ সময় অপর একটি পক্ষ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে ছত্রভঙ্গ করেছে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে, রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করেছে- সাদুল্লাপুর উপজেলা বিএনপি। অস্থায়ী কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়- আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল হত্যার ঘটনায় জড়িত না থেকেও তাদের কয়েকজন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। মামলা থেকে নিরপরাধ আসামিদের বাদ দেওয়ার দাবি জানান বিএনপির নেতারা।
তবে বিএনপি-জামায়াতের নেতারা ওই আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানানোসহ প্রকৃত অপরাধীদের বিচার দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হাসানপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান মন্ডলের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল ১৩ ফেব্রুয়ারি দিনদুপুরে ধাপেরহাট বন্দরে হত্যার শিকার হন। আর ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৭ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত আরও ২০-২২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানিয়েছেন ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার।
মন্তব্য করুন