হলুদ রঙের ফুলকপি সাদা ফুলকপির চেয়ে পুষ্টিগুণ বেশি। দেখতেও সুন্দর। শুধু জৈবসার ব্যবহার করেই এই ফুলকপি চাষ করা যায়। আর তাতেই সারা ফেলেছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কুমড়াকাপন এলাকার হিড বাংলাদেশের সদস্য ফাতেমা বেগম, নাজিরা বেগম ও রেহেনা বেগম। এলাকায় প্রথমবার পরীক্ষামূলক এই শীতকালীন সবজি চাষ করে পেয়েছেন সফলতা। হলুদ ফুলকপি নিয়ে এরই মধ্যে অন্য কৃষকদের মধ্যেও ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
উপজেলার ধলাই নদীর তীরবর্তী দক্ষিণ কুমড়াকাপন এলাকায় হলুদ রঙের ফুলকপি চাষে কৃষকরা লাভের মুখ দেখছেন। পুষ্টিকর ও ক্যানসার প্রতিরোধে হলুদ কালার এই ফুলকপি চাষ অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বাজারে যেসব সাদা কালারের ফুলকপি পাওয়া যায়, তার চেয়ে দামে প্রায় দ্বিগুণ হলুদ কালারের ফুলকপি।
কম খরচে অধিক লাভজনক সবজির দৃষ্টান্ত হচ্ছে ফুলকপি। আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে আগাম চাষাবাদ হলে এই ফুলকপির বাম্পার ফলন হবে এবং কৃষকরা স্বাবলম্বী হবেন।
কমলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কুমড়াকাপন এলাকার হিড বাংলাদেশের সদস্য ফাতেমা বেগম, নাজিরা বেগম ও রেহেনা বেগম ৩৫ শতাংশ জমিতে হলুদ রঙের ফুলকপি চাষাবাদা করেন।
এতে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ২৪-২৫ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত তারা বিক্রি করেছেন প্রায় ৫০ হাজার টাকার ফুলকপি। আগাম চাষাবাদ হলে লাভের মুখ আরও বেশি হতো। বর্তমানে বাজারে শীতকালীন সবজির দাম কম থাকায় চাহিদা তুলনায় কম লাভবান হবেন।
হিড বাংলাদেশের কৃষি কর্মকর্তা সোহেল সিকদার বলেন, কৃষি ইউনিটের কৃষিখাতে হিড বাংলাদেশের বাস্তবায়নে পল্লি কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় রঙিন ফুলকপি চাষে লাভবান দক্ষিণ কমড়াকাপন গ্রামের কৃষক। রঙিন ফুলকপির চারা, জৈব সার, বালাই নাশক, হলুদ কার্ড, ফেরোমন ফাঁদ, প্রশিক্ষণ, নিয়মিত ক্ষেত পরির্দশন ও পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, রঙিন ফুলকপি দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে প্রচুর আন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, ক্যানসার প্রতিরোধী অ্যানথোসায়ানিন রয়েছে। আগামীর কৃষিতে রঙিন ফুলকপি নতুন মাত্রা যোগ করবে।
মন্তব্য করুন