ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সরকারি খাল ভরাট করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিনের বিরুদ্ধে।
উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি খাল পুনরুদ্ধারের দাবিতে গ্রামবাসীর পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন স্থানীয় শাহ আলম সরকার। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে পরিদর্শনে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সরওয়ার। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খিদিরপুর মৌজার ১২৪ দাগের খাস খালের ১২ শতাংশ জায়গা; যার দৈর্ঘ্য ১৭০ ফুট ও প্রস্থ ৩০ ফুট ছিল। খালটি মূলত ওই গ্রামের প্রায় ১২শ অংশীদারের বৃহৎ দীঘির মাছ আনা নেওয়া ও গ্রামবাসীর দৈনন্দিন ব্যবহৃত পানি নিষ্কাশনসহ দীঘিতে আসা যাওয়ার একমাত্র রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মতিনের খাল ভরাটের কারণে বৃষ্টির পানি দীঘিতে জমা হয়ে নিষ্কাশন না হতে পেরে আশপাশের বসবাসরত মানুষের ঘরবাড়িতে উঠে যায়।
দীঘি পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহ আলম সরকার জানান, ক্ষমতা দেখিয়ে আবদুল মতিন মেম্বার আমাদের সবাইকে অসুবিধায় ফেলে নিজের কথা চিন্তা করে খালটি ভরাট করে ফেলে। আমরা গ্রামবাসী ও দীঘির অংশীদাররা ভয়ে মুখ খুলিনি। কিছু বলেলই হামলা-মামলার হুমকি দিত মতিন মেম্বার। আওয়ামী সরকার পতনের পর আমরা একাধিক গ্রাম্য শালিসে তাকে খাল খনন বা আমাদের দীঘির সুবিধার্থে ১০ ফুট রাস্তা চাইলেও সে তা মান্য করেনি। তাই বাধ্য হয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করি। আমাদের একটাই দাবি গ্রামবাসীর কথা চিন্তা করে খালটির খনন বা দীঘির জন্য রাস্তা দেওয়া হোক।
অভিযোগ স্বীকার করে আবদুল মতিন জানান, আমি ২০১১ সালে ইউপি সদস্য হওয়ার পর গ্রামবাসীর সুবিধার্থে খাল ভরাট করি। আমার বসতঘরের জায়গা অল্প আছে বলে খালটি আমার ভোগদখলে থাকায় তা ভরাট করি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম সরওয়ার বলেন, গ্রামবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে জায়গাটি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। তবে উভয় পক্ষের উশৃঙ্খল আচরণের জন্য কোনো সমাধানে যেতে পারিনি। পরে ইউএনও স্যারের সঙ্গে পরামর্শ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন