এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার জঙ্গলপট্টি গ্রামের স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও বসতঘর ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে দুই পক্ষের চারজন আহত হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে আতাহার সিকদার (৬২) এর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকার আধিপত্য নিয়ে গত কয়েকদিন যাবত স্থানীয় বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ফকিরের সঙ্গে একই গ্রামের যুবদল কর্মী মিরাজুল ও জাহিদুল সিকদারের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। ওই দ্বন্দ্বের জেরধরে সোমবার সন্ধ্যায় মিরাজুল ও জাহিদুলের পক্ষ নিয়ে ইউপি সদস্য নজরুল ফকিরকে মারধর করে গৌরনদী পৌর যুবদল কর্মী হীরা সরদার। এরপরই রাত নয়টার দিকে নজরুলের লোকজন পাল্টা হামলা চালায়। এসময় দুই পক্ষের মহড়ায় এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
যুবদল কর্মী মিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় কে বা কারা সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ফকিরকে মারধর করেছে তা আমরা জানি না। কিন্তু নজরুল ওই ঘটনায় আমাদের দোষারোপ করে রাত নয়টার দিকে ছাত্রদল নেতা কায়েস সিকদার, জোবায়ের সিকদার ও সজিব হাওলাদারসহ শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে আমার বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও নগদ লক্ষাধিক টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণালংকার লুটপাট করে। এসময় তাদেরকে লুটপাটে বাঁধা দেওয়ায় আমার বৃদ্ধ পিতা আতাহার সিকদারকে কুপিয়ে গুরুতর জখম এবং মা রাশিদা বেগমকে পিটিয়ে আহত করেছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ফকির বলেন, সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলযোগে বাসায় ফিরছিলাম পথিমধ্যে জঙ্গলপট্টি মাদ্রাসার সামনে পৌঁছলে যুবদল কর্মী হীরা সরদার, মিরাজুল, জাহিদুল সিকদার আমার পথরোধ করে ব্যাপক মারধর করে সঙ্গে থাকা ১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং আমি ঠিকাদারি কাজ করি এজন্য তারা আমার কাছে আরো পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। খবর পেয়ে আমার মেঝ ভাই আজিবর ফকির আমাকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। আমরা দুই ভাই বর্তমানে শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন