বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত এক ছাত্রলীগ নেতার নাম থাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারি জেলা শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গঠিত ওই কমিটিতে তাকে যুগ্ম সদস্য সচিব পদে রাখা হয়।
আর এতেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন ওই কমিটির দায়িত্বরতরা। অপরদিকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সম্মুখ সারির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
কমিটিতে স্থান পাওয়া ওই নেতার নাম মেরাজ হোসেন। তিনি সান্তাহার সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের উপশিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক ছিলেন এবং সান্তাহার পৌর শহরের সাঁতাহার আদর্শ পাড়ার মিঠুর ছেলে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সান্তাহার কলেজে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ করে আসছিলেন মেরাজ হোসেন। ২০২৩ সালে সান্তাহার কলেজ শাখা ছাত্রলীগের রাজন কান্তি দাসকে সভাপতি ও রাফিউল ইসলাম বাঁধনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন। বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়ের স্বাক্ষরিত এক পত্রে কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এই কমিটি তালিকায় ২৯ নম্বরে উপশিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মেরাজকে।
এরপর থেকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন সভা সেমিনার ও দলীয় প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতেন তিনি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতন হলে খোলস পাল্টে দল বদল করে। পরে ছাত্র আন্দোলনের অজুহাতে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। আস্তে আস্তে তাদের মন জয় করে বগুড়া জেলা শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটিতে স্থান নেয়। গত ৩০ জানুয়ারি বগুড়া জেলা শাখায় গঠিত কমিটিতে যুগ্ম সদস্য সচিব পদে তাকে রাখা হয়। ফলে সৃষ্টি হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, মেরাজ হোসেন আমাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ করতো। দল পরিবর্তনের সঙ্গে সেও নিজেকে পরিবর্তন করেছে। তার ছাত্রলীগ করা নাম তালিকা রয়েছে। দলীয় প্রোগ্রামে রবিনসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরদের সঙ্গে কাজ করত। পরে বগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটিতে নাম দেখে হতবাক হয়েছি।
মেরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও কল রিসিভ হয়নি।
বগুড়া জেলা শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান কালবেলাকে জানান, মেরাজ হোসেন আমাদের গঠিত কমিটিতে আছে। যদি ছাত্রলীগের কোনো কমিটিতে নাম থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন