নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক ইউপি সদস্যকে মারধর করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যানের কার্যালয়ে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে। প্রায় এক ঘণ্টা চেয়ারম্যান তার কক্ষে অবরুদ্ধ থাকার পর স্থানীয় বিএনপি নেতারা এসে তালা খুলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. শামীম অভিযোগ করে বলেন, আমি আওয়ামী লীগ সমর্থন করতাম। কিন্ত অতীতে কোনো অনিয়মের সঙ্গে ছিলাম না। এজন্য গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আমরা যথারীতি ইউনিয়ন পরিষদে এসে সব কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
তিনি বলেন, দেড় মাস আগে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে কৃষকদের জন্য সার আসে। সেখানে আমার ওয়ার্ডের ৪৫ কৃষকের সার পাওয়ার তালিকায় নাম ছিল। সোমবার সকালে গ্রাম পুলিশ ও যুবদল নেতা সোহেলের মাধ্যমে তালিকা অনুসারে ওই সার বিতরণ শুরু করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে একই ওয়ার্ডের যুবদল নেতা রানা, জাবেদ ও ছাত্রদল নেতা মহসিন। পরে বেলা ১১টার দিকে তারা ১৫-২০ জন ইউনিয়ন পরিষদে যায়। সেখানে তারা আমার কাছে জানতে চায় কার অনুমতি নিয়ে সার বিতরণ করছি। একপর্যায়ে গ্রাম পুলিশের কক্ষে ঢুকে আমাকে গালমন্দ করে মারধর করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করে দেয়। কিছুক্ষণ পর গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিন্টুকে তার কার্যালয়ের ভেতরে রেখে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. হাবীবুর রহমান বলেন, সার বিতরণ নিয়ে হালকা একটা ঘটনা ঘটেছে। পরিষদে তালা দেওয়া হলে আমি খুলে দিয়েছি। পুলিশ ও সেনবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। আলাপ-আলোচনা হয়েছে, আমরা বসে সমাধান করে দেব। রানা ও মহসিন আমাদের দল করে। তবে জাবেদ নামে কাউকে আমি চিনি না।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এক মেম্বারের সঙ্গে স্থানীয় যুবদল নেতার বাগবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে বিচার নিয়ে যায় তারা। সেখানে চেয়ারম্যানের সঙ্গেও তাদের ভুল বোঝাবুঝি হয়। পরে স্থানীয় বিএনপি নেতারা বিষয়টি সমাধান করে।
মন্তব্য করুন