চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন থানায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা ও সন্ত্রাসীবিরোধী আইনে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তার আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার পর থেকে রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- কোতোয়ালি থানার চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক লীগ নেত্রী ও ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির মহিলা ও শিশুবিষয়ক সম্পাদক কানিজ ফাতেমা লিমা, মো. শাহাদাৎ হোসেন অনি, শুভ মল্লিক, ওসমান গনি রনি, মো. সুরুজ, বাকলিয়া থানার আওয়ামী ওলামা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি নুর মোহাম্মদ, মো. খোরশেদ আলম, মো. মিজবাহ হোসেন জিফাত, হাবিবুর রহমান জুয়েল, সদরঘাট থানার হকার্স লীগের সভাপতি মো. মাসুম, ২৯নং পশ্চিম মাদারবাড়ি ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আশিক, বায়েজিদ বোস্তামী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. আব্দুল বাতেন, মো. হারুন অর রশিদ ধ্রুব প্রকাশ জনি, মো. মুন্না, মো. ইকবাল, চকবাজার থানার সাজু বিশ্বাস, সাইফুল ইসলাম এবং পাঁচলাইশ থানার মো. ফয়েজ সিকদার, সৈয়দ মো. আশরাফুল হক সিফাত, সৈয়দ মো. আসাদুল হক আসাদ।
এ ছাড়া চান্দগাঁও থানার মো. মুরাদ মিয়া, রতন মিয়া ওরফে আরজু, হালিশহর থানার মো. রাজ্জাক আশরাফি ওরফে প্রকাশ রাজ, ডবলমুরিং থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগঠক মো. গোলাম শরিফ তুষার, মো. তোফাজ্জল হোসেন, মো. ইমরান, মো. শফিউল আলম, ইফরাত নুর, মো. খোকন, প্রিয়া মনি, বন্দর থানার মো. নয়ন, খুলশী থানা যুবলীগের সহসভাপতি মো. সুমন, মো. আব্দুল মান্নান, আকবরশাহ্ থানার নাজীম উদ্দিন, ইপিজেড থানার শওকত ইসলাম, বায়েজিদ বোস্তামী থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি বিপ্লব কুমার দাস ওরফে প্রকাশ মাটি, পতেঙ্গা মডেল থানার মো. ওমর আলী এবং কর্ণফুলী থানার আসামি ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সহসম্পাদক মো. রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মন্তব্য করুন