সিরাজগঞ্জে যমুনা ও বাঙালি নদী তীর সংরক্ষণ এবং নদী অববাহিকার উন্নয়নে প্রায় তিন হাজার ৬৯৫ কোটি টাকার প্রকল্প প্রণয়নের লক্ষ্যে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় দুই হাজার ২৪৪ কোটি টাকার চলমান ৩টি বৃহৎ প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
পাউবোর হলরুমে আয়োজিত এ গণশুনানিতে নদীতীরের ভুক্তভোগী জনগণ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
এ সময় তারা বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে মতামত দেন এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ জেলাকে নদীভাঙন থেকে রক্ষা এবং প্রকল্পসমূহের বাজেট বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহীনূর আলম খান, শহরের ২নং পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আব্দুল মজিদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাহজাদপুর উপজেলার প্রতিনিধি আল মামুন প্রমুখ।
এ সময় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হাসান ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শাহীন রেজাসহ পদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
গণশুনানিতে পাউবো কর্মকর্তারা বলেন, ৫৫৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজিপুরের বা ঐখোলা, সিংড়াবাড়ী ও পাটাগ্রাম এলাকা সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ ৯৪ শতাংশ শেষ হয়েছে। ৬৫৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে শাহজাদপুরের ব্রাহ্মণগ্রাম-হাঁটপাচিল নদী তীর সংরক্ষণ কাজের ৬৯ শতাংশেরও বেশি সম্পন্ন হয়েছে। ১ হাজার ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে করতোয়া/ফুলজোড় নদীতীর প্রতিরক্ষার কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে।
প্রণয়ের লক্ষে প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজিপুর ও সদর উপজেলায় ডুবোচর অপসারণ, ৮১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্ট পর্যন্ত ক্রসবার-১ ও ক্রসবার-২ কে সংযুক্ত করে মধ্যবর্তী এলাকার ভূমি উন্নয়ন প্রকল্প ও ৮৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বেলকুচির রাঁন্ধনিবাড়ি এলাকায় যুমনার ডানতীর রক্ষা প্রকল্প।
সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেসুর রহমান কালবেলাকে জানান, প্রকল্পগুলো এখনো পাঠানো হয়নি। এসব প্রকল্প নিয়ে কিছু কিছু স্টাডি হয়েছে, কারিগরি কমিটির সঙ্গে কথা ও বোর্ড পর্যায়ে দু-একটা মিটিং হয়েছে। মূলত এ প্রকল্পগুলো প্রণয়নের লক্ষ্যে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মন্তব্য করুন