তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে কুড়িগ্রামে তিস্তার তীরবর্তী এলাকায় ২ দিনের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাট এলাকা থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
দুদিনের এ অবস্থান কর্মসূচি শেষ হবে আগামীকাল মঙ্গলবার রাত ১২টায়। পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে অবস্থান কর্মসূচিতে জাগরণের গান, ভাওয়াইয়া, দেশাত্মবোধক সংগীত, নাটক ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। অবস্থান কর্মসূচিতে রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ অংশ নিচ্ছে।
তিস্তা পাড়ের মানুষরা জানান, শুকনো মৌসুমের শুরুতেই তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশের ১১৫ কিলোমিটারজুড়ে পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। নদীর বিভিন্ন অংশের সরু নালা দিয়ে বর্তমানে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন ফসল। এতে হুমকির মুখে পড়েছে তিস্তার তীরবর্তী অঞ্চলের জীবন-জীবিকা।
তিস্তা নদীর তীরবর্তী কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার ১১টি পয়েন্টে একযোগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষরা। এর আগে ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল তিস্তা ইস্যুতে ঢাকা থেকে লং-মার্চ করেছিল বিএনপি। লং মার্চটি নীলফামারী জেলার ডালিয়া ব্যারেজ অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। পরে ডালিয়ার তিস্তা ব্যারেজের কাছে সমাবেশ করে।
মন্তব্য করুন