বরগুনার তালতলীতে উদ্ধার ৫০০ গ্রাম গাঁজা থানায় জমা না দিয়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে তালতলী থানার দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারা।
অভিযুক্ত দুই পুলিশ হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) সুশান্ত ও কনস্টেবল হৃদয়।
জানা গেছে, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের ঠংপাড়া এলাকা থেকে নান্টু নামের এক মাদক কারবারিকে ধাওয়া করে এসআই সুশান্ত ও কনস্টেবল হৃদয়। ওই কারবারি হাতে থাকা স্কুলব্যাগে ১ কেজি ৯০০ গ্রাম গাঁজা রেখে পালিয়ে যায়। কিন্তু এসআই সুশান্ত ও কনস্টেবল উদ্ধার গাঁজা থানায় জমা দেননি। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এসআই সুশান্ত স্থানীয় শহিদুল নামের এক মাদক কারবারির কাছে ওই গাঁজা থেকে ৫০০ গ্রাম দশ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। পরে পুলিশ কনস্টেবল হৃদয় ওই গাঁজা পৌঁছে দেয় বলে জানান মাদক কারবারি শহীদুল ইসলাম।
মাদক কারবারি শহীদুল ইসলাম বলেন, কনস্টেবল হৃদয় আমাকে ফোন করে গাঁজা বিক্রি করবে বলে জানান। আমি ৫০০ গ্রাম গাঁজা ১০ হাজার টাকায় কিনেছি। কনস্টেবল হৃদয় আমার কাছে গাঁজা দিয়ে টাকা নিয়ে গেছেন।
কনস্টেবল হৃদয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাংবাদিক-পুলিশ বন্ধুর মতো। এ বিষয়টি নিয়ে সামনে না এগিয়ে বাদ দেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই সুশান্ত বলেন, আমার ওইদিন ডিউটি ছিল না। মামলার তদন্ত কাজে গিয়েছিলাম, তখন শুনলাম গাঁজা বিক্রি হচ্ছে। নান্টু নামের ওই গাঁজা ব্যবসায়ীকে ধাওয়া দিলে তিনি অটোরিকশা রেখে পালিয়ে যায়। থানায় জমা না দিয়ে ওই অটোরিকশা স্থানীয়দের জিম্মায় রেখে এসেছি।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিল বলেন, আপনার কাছে তথ্য থাকলে আমাকে পাঠান। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন