যশোরের মনিরামপুর থানার ওসির অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করেছে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় থানা ফটকের সামনে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় বক্তারা থানা থেকে আসামি ছেড়ে দেওয়া বন্ধ না করলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন তারা।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টুসহ অন্যরা অভিযোগ করে বলেন, বিগত সরকারের আমলে থানায় ধরে এনে শত শত বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় জেল-হাজতে পাঠানো হতো। দিনের পর দিন মিথ্যা মামলায় হাজতবাস করতে হয়েছে। অথচ বর্তমানে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আসামি ধরে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
তারা অভিযোগ করেন, গত দুই দিনের ব্যবধানে ৭ জনকে থানায় ধরে আনা হয়। কিন্তু রাতের অন্ধকারে রহস্যজনক কারণে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলা চত্বর থেকে গাঁজাসহ দুজনকে আটক করে মনিরামপুর থানা পুলিশ। শনিবার সকালে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও গত ৩/৪ দিনে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে অনন্ত ৭ জনকে আটক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় থানার এসআই অমিত দাস, কানু, মিলনসহ বেশ কয়েকজনের রহস্যজনক ভূমিকার কথা তুলে ধরেন তারা।
তারা দাবি জানান, অচিরেই মনিরামপুর থানার ওসিকে অপসারণ করতে হবে।
একাধিক সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে সবুজ ও রিয়াজ নামে দুজনকে গাঁজাসহ উপজেলা চত্বর থেকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সেলিম হোসেন নামে চিহ্নিত এক গাঁজা কারবারিকে আটক করে থানায় আনা হয়। পরদিন শনিবার সকালে অজ্ঞাত কারণে সবুজ ও রিয়াজকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ আসামি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে থানার এসআই অমিত দাসের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া শনিবার ইমরান হোসেনসহ চারজনকে থানায় এনে মারধরের অভিযোগ উঠেছে অমিত দাসের বিরুদ্ধে।
অবশ্য এসব ব্যাপারে এসআই অমিত দাস বলেন, সবুজ নামে যাকে ধরা হয়েছিল তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে ওসি স্যারই ভালো বলতে পারবেন। আর মারধরের বিষয়টি মিথ্যা।
এ বিষয়ে জানতে মনিরামপুর থানার ওসি নূর মোহাম্মদ গাজীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ হয়নি। ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোনো সাড়া মেলেনি।
মনিরামপুরের এএসপি ইমদাদুল হক বলেন, ছুটিতে থাকায় এ ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারছি না।
এ বিষয়ে যশোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জিয়াউদ্দিন আহম্মেদের মুঠোফোনে কল দিলেও সেটি রিসিভ হয়নি।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দীক, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোতাহরুল ইসলাম রিয়াদ, সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বিল্লাল গাজী, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইউনুস আলী জুয়েল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান, সদস্য সচিব মাসুদ গাজী প্রমুখ।
মন্তব্য করুন