প্রতিদিনের মতো দাদি আনোয়ারা বেগমের হাত ধরে স্কুলে যাচ্ছিল শিশু ইব্রাহিম ইসলাম স্বপ্নীল। স্কুলের সামনে পথচারী সাইনে পা দিতেই বালুবোঝাই একটি ট্রলি ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশুটি। গুরুতর আহত হন দাদি।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে কুষ্টিয়া শহরের ফুলতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় বন্ধ থাকে সড়কে যান চলাচল। নিহত ইব্রাহিম ইসলাম স্বপ্নীল (৪) কুষ্টিয়া শহরতলীর বটতৈল এলাকার আহসান হাবীবের ছেলে। সে এ বছর ফুলতলা এলাকায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতীতি বিদ্যালয়ে প্লে শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল। তার মায়ের নাম জেসমিন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল সোয়া ৮টার দিকে আনোয়ারা বেগম তার নাতি ইব্রাহিম ইসলাম স্বপ্নীলকে নিয়ে প্রতীতি বিদ্যালয়ের সামনে সড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেট এলাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী বালুভর্তি ইঞ্জিনচালিত ট্রলি ধাক্কা দেয় তাদের। এতে ইব্রাহিম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। দাদিকে ভর্তি করা হয় কুষ্টিয়ার আড়াইশ শয্যার হাসপাতালে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
প্রতীতি বিদ্যালয়ের ভাইস প্রিন্সিপাল আনিসুর রহমান বলেন, ‘সকালে স্কুলে ছিলাম। হঠাৎ শুনতে পাই ট্রলির ধাক্কায় এক শিশু শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
এদিকে সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে যান কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতীম শীল, কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা স্থানীয় বাসিন্দাসহ অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন।
কুষ্টিয়ার মডেল থানার ওসি শেহাবুর রহমান শিহাব কালবেলাকে বলেন, ঘটনার পর ট্রলির চালক পালিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন