রাজবাড়ীর পাংশায় দোকান ঘর দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ও বিকেলে উপজেলার বাবুপাড়া ও কলিমহর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকার বেচপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নারী-পুরুষসহ দুপক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- কলিমহর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহান উদ্দিন, একই ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি শহিদুল খানের স্ত্রী শাহানাজ বেগম, রাখি বেগম, পলি খাতুন ও শামিম। আহতরা পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, কলিমহর ও বাবুপাড়া ইউনিয়নের সীমান্তে বেচপাড়া বাজারে আনোয়ার মোল্লার কাছ থেকে ২ সার্টারের একটি দোকান ঘর কেনেন ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহান উদ্দিনের ছেলে মিলন মোল্লা। দোকান ঘরটি দীর্ঘদিন তালাবদ্ধ ছিল। ঘটনার দিন সকালে দোকান ঘরটি নিজেদের দাবি করে তালা ভাঙতে যান শহিদুল খান গং। জাহান উদ্দিন গং বাধা দিতে গেলে শহিদুল খান গং কর্তৃক হামলার শিকার হন।
এ সময় জাহান উদ্দিন ও শামিম আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন বিকেলে বেচপাড়া বাজারে অবস্থিত শহিদুলের মুদিখানার দোকান, তার ভাই শাহিদুল খানের ব্রয়লারের দোকান, আশিকের কসমেটিকসের দোকান ও ওহিদুলের মনোহারীর দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি শহিদুল খান বলেন, আমাদের জমির দোকানটি দখলে নিতে ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহান উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছে। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে তার মেয়ে জামাই শহিদুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন দেশীয় অস্ত্র রামদা, হকিস্টিক, চাইনিজ কুড়াল, লাঠিসোঁটাসহ অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের চার ভাইয়ের দোকান ভাঙচুর করে লুটপাট করে নিয়ে গেছে। দোকানের মালামালসহ নগদ আড়াই লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।
অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বাবু বলেন, আনোয়ার মোল্লার কাছ থেকে আমার শ্যালক মিলন মোল্লা বাজারের একটি দোকান ঘর কেনেন। দোকান ঘরটি নিয়ে এর আগে ঝামেলা হওয়ায় তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। কিন্তু শহিদুল খান ও তার ভাইয়েরা ঘরটির তালা ভেঙে তাদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করলে আমার শ্বশুর তাদের বাধা দেন। তারা আমার শ্বশুরের ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় আমার ছোট ভাই শামীমকেও তারা মারধর করে। তবে দোকানঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় উভয়পক্ষই লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মীমাংসার চেষ্টা চলছে। মীমাংসা না হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন