ঢাকা সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১ জনের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিউলি আক্তার ও সুমন রহমান নামে দুজন মারা গেছেন। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ও রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা।
নিহত শিউলি আক্তার (৩২) মুন্সিগঞ্জ জেলার নিমতলীর আলাউদ্দিনের মেয়ে। সুমন রহমান (৩০) শিউলির ভাই। এ ঘটনায় শিউলির স্বামী, দুই সন্তানসহ ৯ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, আগুনে শিউলি আক্তারে শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। শনিবার রাত ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। এ ছাড়া সুমন মিয়া (৩২) নামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দুপুর ১২টা ৩৫মিনিটে মারা যান।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত শুক্রবার সাভার উপজেলার আশুলিয়ার গোমাইল এলাকায় ভাই সুমন রহমানের ভাড়া বাসায় স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে যান শিউলি। ওই বাসায় সুমন স্ত্রী শারমিন ও তাদের দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। এ ছাড়া ওইদিন সুমনের ভাই সোহেল, সুমনের মা সূর্যবানু, ফুফু জহুরা বেগমও ওই বাসায় এসেছিলেন। শবে বরাত উপলক্ষে পিঠাপুলির আয়োজন ছিল। রাত সাড়ে ৯টার দিকে রান্নাঘরে গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেল বিকট শব্দ হয়। মুহূর্তেই ঘরে আগুন ধরে ১১ জন দগ্ধ হয়। পরে অগ্নিদগ্ধদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিউলি আক্তার শনিবার রাতে মারা যান এবং আজ মারা যান সুমন রহমান।
শনিবার চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, আগুনে সূর্য বানু শরীরের ৭ শতাংশ, মোছা. জহুরা বেগমের ৫ শতাংশ, মো. মনির হোসেনের ২০ শতাংশ, সোহেল রানার ১০ শতাংশ, সুমন রহমানের ৯৯ শতাংশ, শিউলির ৯৫ শতাংশ, শারমিনের ৪২ শতাংশ, ছামিন মাহমুদের ১৪ শতাংশ, মাহাদীর ১০ শতাংশ, সোয়াদের ২৭ শতাংশ, ও মোছা. সুরাহার ৯ শতাংশ পুড়ে গেছে।
মন্তব্য করুন