ঠাকুরগাঁও-১ আসনটি (সদর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আসন হিসেবে পরিচিত। ১৯৯১ সাল থেকে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। ভোটের লড়াইয়ে বিজয়ীও হয়েছেন একাধিকবার। আগামীতেও এ আসনে তিনিই ধানের শীষের কাণ্ডারি হবেন তা বলাইবাহুল্য! তবে বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো এ সংক্রান্ত কোনো তৎপরতা শুরু হয়নি।
অন্যদিকে এরই মধ্যে আসনটিতে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আগামী নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেনকে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার স্থানীয় পর্যায়ে স্কুল-কলেজের পড়াশোনা শেষে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন ঢাকার বাংলাদেশ ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে।
ঠাকুরগাঁও থেকেই শিবিরের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন দেলোয়ার। ১৯৯৯-২০০০ সেশনে ছিলেন ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ শিবিরের সেক্রেটারি। ২০০৭-০৯ মেয়াদে পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি। পরবর্তীতে ২০১২-১৩ সালে কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রজীবন শেষে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা জামায়াতের আমিরের দায়িত্ব পালনের পর এখন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারির দায়িত্বে আছেন। একই সঙ্গে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য পদেও আছেন তিনি।
জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, জামায়াতের রাজনীতি করার কারণে বিভিন্ন সময়ে দেলোয়ারের নামে প্রায় ২০০ মামলা হয়েছে। শিবিরের সভাপতি থাকাকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে টানা ৬০ দিন রিমান্ডে কাটাতে হয়েছে তাকে। বহু অত্যাচার সয়েও দলীয় রাজনীতির আদর্শে অবিচল ছিলেন দেলোয়ার। পাশাপাশি স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করেছেন। সার্বিক দিক বিবেচনায় তাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার তিনটি আসনে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার ভিত্তিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশনা অনুযায়ী এ প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়েছে, যা নির্বাচনী কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এ প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মামুন অর রশিদ বলেন, একটি নিরপেক্ষে, গণতান্ত্রিক ভোটের জন্য আমরা আন্দোলন করেছি। এবার অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে সেখানে সব দল অংশগ্রহণ করবে এটা স্বাভাবিক। জামায়াত তাদের প্রার্থী দিয়েছে এটা তাদের ভোটের একটি অংশ।
মন্তব্য করুন