চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল আমিনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সুয়াবিল এলাকায় অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে আদালত পরিচালনা করে জরিমানার বড় একটি অংশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিয়ে তিনি নিজের পকেটে ভরেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে উপজেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সহকারী কমিশনার হিসেবে ফটিকছড়িতে তার যোগদানের মাস না পেরোতে পার্বত্য জেলার বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে বদলির বিষয়টি এখন টক অব দ্য ফটিকছড়িতে পরিণত হয়েছে।
জানা যায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সুয়াবিল এলাকায় অবৈধ উপায়ে টিলা কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। সেখানে আদালত পরিচালনা করে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি এস্কেভেটর ও দুটি ড্রাম ট্রাক জব্দ করে তার হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। পরদিন ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানার বিনিময়ে এস্কেভেটর ও গাড়ি দুটি ছেড়ে দেওয়া হলেও রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেন ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল আমিন কালবেলাকে বলেন, জরিমানার অঙ্ক ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা বলে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
সেদিনের আদায়কৃত অর্থের রসিদ দেওয়া হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে এসিল্যান্ড বলেন, যেদিন গাড়িগুলো ছাড়িয়ে নেয় সেদিন ছুটিতে যাচ্ছিলাম, তাড়াহুড়ার কারণে রসিদ দিতে পারিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে তার বদলির আদেশের ব্যাপারে বিভাগীয় কমিশনার ভালো বলতে পারবেন।
মন্তব্য করুন