পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানি চুক্তির পরিবর্তে ক্ষমতায় থাকাকে বেছে নিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুল হাবিব দুলু।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর নগরীর নর্থ ভিউ হোটেলে ‘তিস্তা নদীর রক্ষা আন্দোলন’ এর দুই দিনের কর্মসূচি উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য বলেন।
তিস্তার পানির ন্যায্য হিসসা আদায় ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তাপাড়ের ১১টি পয়েন্টে তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন। এছাড়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ ১৪ নেতা বিভিন্ন পয়েন্টে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে দুলু বলেন, তিস্তার করাল গ্রাসে মানুষ ঘরহীন হয়েছে। কিন্তু সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে তিস্তার পানি চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। ভারতের আপত্তির কারণে বাস্তবায়ন চীনের অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
এসময় তিনি বলেন, আমরা এ অঞ্চলে বৈষম্যের বেড়াজাল ছিন্ন করে নেতৃত্ব দিতে চাই। এ অঞ্চলকে সমৃদ্ধশালী করতে চাইলে তিস্তার পানির ন্যায্য হিসসা আদায় ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য যৌথ নদী রক্ষা কমিশনের বৈঠকে তিস্তার পানির হিসসা না পেলে সরকারকে আন্তর্জাতিক আইনের দ্বারস্থ হতে হবে।
সাবেক এ উপমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই না, তিস্তায় ভাঙনরোধে বিক্ষিপ্তভাবে জনগণের ট্যাক্সের টাকা অপচয় করা হোক। এর আগে কিছু কিছু কাজ করা হয়েছে, যা কাজে লাগেনি। এজন্য পরিকল্পনা করে সম্মিলিত সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। এ কর্মসূচির পর সরকার এ দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ না করলে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।
‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদীর কাউনিয়া সেতু, মহিপুর সেতু এবং তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টসহ লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও নীলফামারীর ১১ পয়েন্টে তাঁবু খাটিয়ে একই সময়ে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তিস্তা নদীর রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়কারী ও বিএনপির রংপুর মহানগর আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবি ডন, জেলা আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু, সংগঠনের সদস্য ও কাউনিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক ভরসা, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন-আরপিইউজের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক প্রমুখ।
মন্তব্য করুন