গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমার মাঠে হামলার গুজব ছড়ানোর অভিযোগে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। যদি সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেন, তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যদি না পারেন, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে স্থাপিত জিএমপি কন্ট্রোল রুমের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
জিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইজতেমায় হামলার গুজব ছড়ানো হয়েছে। আমরা সেই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনেছি। তাকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমরা দেখতে চাই, তিনি আদৌও এসব ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না।
গুজব ছড়ানোর অভিযোগে আনা ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা হবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমুল করিম বলেন, ‘এখনি পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যদি তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়, তখন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তার পরিচয় প্রকাশ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ওই ব্যক্তির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রোফাইলে এলটি দলের একটি সংগঠনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে তাকে সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি এবং তিনি কোনো বড় সংগঠনের প্রভাবশালী সদস্য নন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা বিষয়ে জিএমপি কমিশনার বলেন, মাঠে বিপুলসংখ্যক ভলান্টিয়ার কাজ করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। চারপাশে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে, সিসি ক্যামেরা ও ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই রাস্তাগুলো খালি রাখতে, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। তারা প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য একটাই— ইজতেমায় অংশ নেওয়া ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে ইবাদত ও দোয়া করতে পারেন।
আগামীকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমা। এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব প্রশাসনের কাছে ময়দান বুঝিয়ে দেবেন মাওলানা সাদ অনুসারীরা।
মন্তব্য করুন