কুমিল্লার মুরাদনগরে বিতর্কিত বক্তা গিয়াস উদ্দিন তাহেরীর আগমনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের আমপাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- নিজাম উদ্দিন (৩০), ইয়াসিন (৩৫), রুবেল মাঝি (২৫), মনির হোসেন (৩৫), জুয়েল (২৪), আল-আমিন, রহমান শিকদার, কাজল খান, ফাহিম শিকদার ও ডালিম সরকার।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের আমপাল গ্রামের সুরুজ ফকির বাড়িতে আগামী শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) তাহেরীর আগমনকে কেন্দ্র এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তার আগমন প্রতিহত করতে স্থানীয় আলেম সমাজ ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয়। শুক্রবার জুমার নামাজের পর প্রতিবাদ মিছিলটি বের হলে সুরুজ ফকিরের অনুসারীরা মিছিলে হামলা চালায়। এসময় মিছিলকারীরাও পাল্টা হামলা করে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।
মিছিলকারী একজন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম। একপর্যায়ে সুরুজ ফকিরের অনুসারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিলে হামলা করে। আমরা এর বিচার চাই।
মাহফিলের আয়োজকরা জানান, মিছিল নিয়ে মাজার ভেঙে দিতে আসছে এমন খবরে নারী-পুরুষরা বাঁধা দেয়। এসময় তাদের হামলায় তাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। মূলত আমপালের আল-আমীন নামে এক মোবাইল ব্যবসায়ী আমপাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সমাবেশ করে। পরে আল-আমীনের নেতৃত্বে সমাবেশে অংশগ্রহণকারী ৪০/৫০ জনের একটি দল মিছিলসহ অন্তত দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফকির সুরুজ মিয়ার মাজারের কাছাকাছি পৌঁছালেই ঐ গ্রামবাসীর সাথে সংঘর্ষ বাঁধে।
তিনি আরও বলেন, এর আগে দুপক্ষই মাহফিল করার পক্ষে-বিপক্ষে থানায় দুটি লিখিত আবেদন করে। হামলার ঘটনার পর কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। মাহফিলে তাহেরীর আগমন নিয়ে আজ (শনিবার) সকাল ১১ টায় থানায় উভয়পক্ষের বসার কথা রয়েছে। উভয়পক্ষের আলোচনার পর তাহরীর আগমনে মাহফিল করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন