বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আবারও মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাংলাদেশি এক যুবক আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দৌছড়ি সীমান্ত পিলার ৪৯/৫০-এর মধ্যবর্তী এলাকার শূন্য লাইনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সিরাজুল ইসলাম (৩৩) রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নতুন কচ্ছপিয়া পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চোরাই গরু আনতে গেলে স্থলমাইন বিস্ফোরণে আহত হন সিরাজুল। বিস্ফোরণে তার বাম পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দৌছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইমরান বলেন, মাইন বিস্ফোরণে এক যুবক গুরুতর আহতের খবর পেয়েছি। তাকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে শুনেছি।
তিনি আরও বলেন, কয়েক মাস ধরে উপজেলার দৌছড়ি সীমান্তের লেম্বুছড়ি এবং নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের আশারতলী, ফুলতলী কয়েকটা পয়েন্টে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন মিয়ানমার থেকে শত শত চোরাই গরু নিয়ে আসছে। এদিক দিয়ে খাদ্যপণ্য মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেটের সদস্যদের মাধ্যমে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম জানান, মাইন বিস্ফোরণে সিরাজুল ইসলাম নামের একজনের আহত হওয়ার খবর শুনেছি। সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিষয়টি বিজিবি দেখছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি দৌছড়ি লেম্বুছড়ি ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ফুলতলী ৪৭, ৪৮ ও ৪৯ পিলার এলাকায় পৃথকভাবে মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন লেম্বুছড়ি এলাকার মুহাম্মদ রাসেল ও নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ফুলতলী সীমান্ত এলাকার আলী হোসেন ও আরিফ উল্লাহ। এর ঠিক ১০ দিন পর ৩ ফেব্রুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ফুলতলী সীমান্ত ৪৮ পিলার এলাকায় মাইন বিস্ফোরণ ঘটনায় গুরুতর আহত হন রামু উপজেলার মৈষকুম এলাকার আহাম্মদ রশিদের ছেলে তরিক উদ্দিন।
মন্তব্য করুন