জামালপুরের সরিষাবাড়ীরে তারাকান্দিতে অবস্থিত যমুনা সার কারখানায় দীর্ঘ ১৩ মাস পর ইউরিয়া উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মূলত চলমান ইরি মৌসুমের সার সংকট কাটাতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইউরিয়া উৎপাদন কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন যমুনা সার কারখানার উপপ্রধান প্রকৌশলী (রসায়ন) ফজলুল হক।
কারখানার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে প্রতিষ্ঠিত হয় যমুনা সার কারখানা। বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন কেপিআই-১ মানসম্পন্ন যমুনা সার কারখানাটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে দৈনিক ১ হাজার ৭০০ টন ইউরিয়া উৎপাদন করে আসছিল। কারখানার নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৪২-৪৩ পিএসআই গ্যাসের প্রয়োজন। গ্যাসের চাপ স্বল্পতা ও বিভিন্ন ত্রুটির কারণে উৎপাদন কমে বর্তমানে ১ হাজার ২০০ টন ইউরিয়া উৎপাদন হয়।
একপর্যায়ে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানিতে সার উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিআইসি। সে জন্য পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে যমুনা সার কারখানায় গত ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন আন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। এরপর থেকেই যমুনায় ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ থাকে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে গ্যাসের চাপ পুনরায় বৃদ্ধি করে তিতাস গ্যাস। এতে ইউরিয়া উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করা হয়। তবে যন্ত্রাংশের কিছুটা মেরামত করে অ্যামোনিয়া ও ইউরিয়া পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে আরও ৫-৭ দিন সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে কারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন কালবেলাকে বলেন, গ্যাস সংকটের কারণে গতবছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে যমুনাতে ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ হয়। বৃহস্পতিবার থেকে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন আন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি গ্যাসের চাপ বাড়িয়ে দিলে ফের উৎপাদনে ফেরে কারখানাটি। পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন