সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩২
রংপুর (কাউনিয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রংপুরে চাকরি ছেড়ে মাশরুম চাষে সফল আবুল কালাম

মাশরুম চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন উদ্যোক্তা মো. আবুল কালাম। ছবি : কালবেলা
মাশরুম চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন উদ্যোক্তা মো. আবুল কালাম। ছবি : কালবেলা

পরিশ্রমের তুলনায় বেতন কম হওয়ায় চাকরি ছেড়ে মাশরুম চাষ করে এখন সফলতার স্বপ্ন দেখছেন উদ্যোক্তা মো. আবুল কালাম। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের প্রাণনাথ চর এলাকার বাসিন্দা। একসময় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন সেখানে পরিশ্রমের তুলনায় বেতন কম হওয়ায় চাকরি ছেড়ে নিজ উদ্যোগে মাশরুম চাষ শুরু করেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আবুল কালাম নিজ বাড়ির আঙিনায় একটি ঘরে সাজিয়েছেন মাশরমের র‌্যাক। বাঁশের মাঝে সারি সারি ঝুলানো রয়েছে মাশরুমের প্যাকেট। প্যাকেট ভেদ করে বের হওয়া মাশরুমগুলো দেখতেও বেশ চমৎকার। তার সহধর্মিণী ছাড়াও ৬ থেকে ৭ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করার পাশাপাশি বেকারত্ব দূরীকরণেও আবুল কালাম রাখছেন ভূমিকা।

কাউনিয়া উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সঠিকভাবে মাশরুম চাষের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে তার এই পথচলা। মূলত নিজের ইচ্ছেশক্তি আর কৃষি অফিসের উৎসাহে মাশরুম চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে মাশরুম চাষ শুরু করেন তিনি। ২০২১ সাল থেকে তিনি মাশরুম চাষ করছেন।

আবুল কালাম কালবেলাকে বলেন, ২০২১ সালে গার্মেন্টসের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ইউটিউব দেখে মাশরুম চাষের পরিকল্পনা করি। পরে মাগুরায় মাশরুম চাষের ওপর একটি প্রশিক্ষণ নিয়ে ওই সালের নভেম্বর মাসে দেড় লাখ টাকা দিয়ে বাড়িতে মাত্র ২০টি স্কল দিয়ে মাশরুম চাষ শুরু করেন। ২০২৪ সালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ঢাকা মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে একটি প্রশিক্ষণে পাঠায়। প্রশিক্ষণ শেষে ৩ লাখ টাকা দেয় বিভিন্ন উপকরণ কেনার জন্য। বর্তমানে তার সব মিলে প্রায় ৪০০ স্কল আছে। রংপুর অঞ্চলে মাশরুমের তেমন চাহিদা না থাকায় প্রতিদিন ৫ কেজি করে মাশরুম তুলে বাজারজাত করি। প্রতি কেজি পাইকারি দরে বিক্রি হয় তিনশ টাকা। বাজারে মাশরুমের চাহিদা বাড়লে উৎপাদ বাড়বে। তখন হয়তো অনেক টাকা আয় করা যাবে।

কাউনিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. তানিয়া আক্তার কালবেলাকে জানান, আবুল কালাম একজন ভালো উদ্যোক্তা। মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট চোবহানবাগ সাভারে তিনি মাশরুম চাষের উপর উন্নতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। মাশরুম চাষের চাষ প্রণালী তিনি হাতে কলমে শিখেছে। তার মাধ্যমে পিউর কালচার, মাদার কালচার ও বাণিজ্যিক স্পুন তৈরি করবে। আবুল কালামের মাঝে দেখছেন তিনি প্রচুর সম্ভবনা। তাই তাকে একটি ইনকুলেশন ঘর, চাষ ঘর, ভেন গাড়ি, স্টেরিলাইজেশন চেম্বার দুটি ঘর দেয়া হবে। যাতে থাকবে নজেলের মাধ্যমে স্প্রে সিস্টেমসহ বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আওয়ামী লীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বইমেলায় নারী ফুটবল নিয়ে দুই ক্রীড়া সাংবাদিকের নতুন বই

মধ্যরাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার জরুরি সংবাদ সম্মেলন

সালাহর জাদুতে সিটিকে হারিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করলো লিভারপুল

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে ঢাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ

মড্রিচের জাদুতে রিয়ালের দাপুটে জয়

বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২০০ ভরি সোনা লুট

ধানমন্ডিতে অস্ত্রসহ মহড়া, ডাকাত আতঙ্কে মসজিদে মাইকিং

ইজিবাইকের ধাক্কায় নারী পোশাকশ্রমিক নিহত

নতুন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের আত্মপ্রকাশ, অনুষ্ঠানে ৩ বাহিনীপ্রধান ও রাজনীতিবিদরা

১০

‘মার্চে ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব’

১১

ডব্লিউএইচও ও এফসিটিসি নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিতর্ক

১২

আশুলিয়া-সাভারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ ১০

১৩

রাজশাহীতে ডেভিল হান্টের তিনজনসহ গ্রেপ্তার ১৬ জন

১৪

অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশকালে সীমান্তে যুবক আটক

১৫

তামাকের আগ্রাসন দীঘিনালায়, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

১৬

যে কোনো মুহূর্তে যুদ্ধ শুরু করতে প্রস্তুত ইসরায়েল : নেতানিয়াহু

১৭

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বগুড়ায় হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

১৮

দক্ষিণ ঢাকায় জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করতে দেব না : ইশরাক

১৯

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জুলাই বিপ্লবে আহতের পাশে তারেক রহমান

২০
X