জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী ও আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফি বলেছেন, আমি এ দেশের জন্য কথা বলেছি, কণ্ঠস্বর চলমান রেখেছি, তাই আজ আমার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
নুরুজ্জামান কাফি বলেন, ঘরের মধ্যে দুজন শিশু, বাবা-মা এবং ভাই-ভাবি ছিল। সবাইকে ঘরের ভেতরে রেখে দরজা বাইরে থেকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। তারপর চারদিক থেকে আগুন দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ফ্রন্টে থেকে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে থেকে আন্দোলন ত্বরান্বিত করেছি। যা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্রছাত্রী এবং সমগ্র দেশের মানুষ ও জনসাধারণ জানে। সর্বশেষ ধানমন্ডি ৩২ এ স্বৈরশাসকের গুমের আস্তানা ধ্বংসে জনগণের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছি। যার কারণে স্বৈরশাসকের সহায়তাকারীদের অনেক আগে থেকেই টার্গেটে ছিলাম। তাই রাতের আঁধারে অজ্ঞাত স্বৈরশাসকের সহায়তাকারীরা আমার ঘর পুড়িয়ে দেয়।
আলোচিত এ কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, ঘরে আগুন দেওয়ার জন্য কোনো ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা আমরা জানি না। আমার পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা ভেঙে কোনোরকম বাহিরে বের হয়।
কাফি বলেন, আমাদের কারো কোনো ডকুমেন্টস, দলিলপত্র ও সার্টিফিকেট কোনো কিছু রক্ষা করতে পারিনি। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু তাদের একান্ত চেষ্টার পরেও কোনো কিছুই রক্ষা করতে পারেনি।
জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, আমরা বিষয়টি আমলে নিয়েছি। ইতোমধ্যে তদন্ত টিম করে দিয়েছি। দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্বৈরাচারের দোসররা বিভিন্ন মহলে লুকিয়ে আছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
মন্তব্য করুন